Prothomalo:
2025-08-01@04:50:49 GMT

মুঠোফোনের ব্যবহার

Published: 29th, May 2025 GMT

হজ ব্যবস্থাপনার অনেকাংশই এখন তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হজের প্রাক্-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করছেন হজযাত্রীরা। ব্যাংকে হজ প্যাকেজের টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংক থেকে নিবন্ধন সনদ পাচ্ছেন, যাতে প্যাকেজ সম্বন্ধে বিস্তারিত থাকছে। হজযাত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ অনেক ভুল–বোঝাবুঝি দূর করে সার্বিক অভিজ্ঞতাকে উন্নততর করা সম্ভব হয়েছে। হজের ওয়েবসাইটে ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে। কিয়স্কের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট কার্ড প্রদানের ফলে সৌদি আরবে চিকিৎসাসেবা গ্রহণে কম সময় লাগছে। সৌদি আরবে হারানো হজযাত্রীদের সেবা প্রদান দ্রুততার সঙ্গে করা যাচ্ছে। আর এই সবই করা যায় মুঠোফোনের মাধ্যমে।

সরকার চালু করেছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ‘লাব্বাইক’ মুঠোফোন অ্যাপ। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি ‘বিশেষ রোমিং প্যাকেজ’ চালু করেছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক ‘হজ প্রি–পেইড কার্ড’ চালু করেছে এবার। 

তবে হজযাত্রী নিজে তাঁর মুঠোফোনে ‘ই-হজ বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে হজসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পেতে পারেন। সৌদি হাসপাতালে রোগীর সেবা নেওয়ার তথ্য এবং অ্যাপসে মিনার তাঁবু নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়।

সৌদি আরবে হারানো হজযাত্রীদের সেবা প্রদান দ্রুততার সঙ্গে করা যাচ্ছে। আর এই সবই করা যায় মুঠোফোনের মাধ্যমে। সরকার চালু করেছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ‘লাব্বাইক’ মুঠোফোন অ্যাপ।আরও পড়ুনঅতি মূল্যবান ও পবিত্র হাজরে আসওয়াদ১০ জুন ২০২৩

তুলনামূলকভাবে অনেক মানুষ মিনা ও আরাফাতে অবস্থান করেন বলে হজের সময় সেখানে মুঠোফোন নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায় না। মুঠোফোনের চার্জ নিয়ে সমস্যা হয় এবং অনেক অ্যাপ চালু থাকায় ডেটা বেশি ব্যবহৃত হয়। দরকার না হলে এ সময় মোবাইল ডেটা অপশন বন্ধ রাখতে পারলে ভালো, তা না হলে পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখতে হবে। হজ উপলক্ষে সৌদি আরবে মুঠোফোন সংযোগদাতা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হজের বিশেষ সিম কার্ড বা সংযোগ চালু করে। হজযাত্রী নিজের পাসপোর্ট ও ভিসা দেখিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়ে (বায়োমেট্রিক পদ্ধতি) রিয়ালের (সৌদি মুদ্রা) বিনিময়ে সিম কিনতে পারবেন। কেনার আগে সিমের কথা বলার রেট ও ইন্টারনেট ডেটার চার্জ কেমন, তা ভালো করে জেনে নেবেন।

আরও পড়ুনহজযাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে প্রথম আলোর হজ গাইড১০ মে ২০২৫হজযাত্রী নিজের পাসপোর্ট ও ভিসা দেখিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়ে রিয়ালের বিনিময়ে সিম কিনতে পারবেন। কেনার আগে সিমের কথা বলার রেট ও ইন্টারনেট ডেটার চার্জ কেমন, তা ভালো করে জেনে নেবেন।

ইন্টারনেটসহ সিম ব্যবহার করে যোগাযোগমাধ্যম সিগন্যাল, মেসেঞ্জারে কথা বলা যায়। সৌদি আরবে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা যায় না, কিন্তু মেসেজ দেওয়া যায়, ছবি পাঠানো যায়। কথা রেকর্ড করে পাঠানো যায়। গ্রুপ তৈরি করে অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। 

বয়োবৃদ্ধরা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে নগদ টাকা বহন করেন না। বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক হজের সময় সৌদি আরবের রিয়াল খরচ করার জন্য হজ কার্ডের সেবা চালু করেছে। কার্ডের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র হজয ত র

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ