রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িতে ঢিল ছুড়ে জানালার কাচ ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সেনপাড়ায় তার বাড়ি ‘স্কাই ভিউ’য়ে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিকেলে রংপুরে গিয়ে জি এম কাদের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।
এরপর জিএম কাদের রংপুরে অবস্থান করার প্রতিবাদে রাত ৮টার দিকে প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে মিছিলটি প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাড়ির দিকে রওনা হয়। এরপরই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র এম ক দ র
এছাড়াও পড়ুন:
লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক রত্না সাহা এই আদেশ দেন। নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ), যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন:
সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির-হুমকি: যুবককে ২ মাসের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন: ছবি তোলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
এ সময় ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা গুলি ছুঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৩ শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয় আশরাফুল আলমকে।
ঢাকা/শরিফুল/রাজীব