জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ৬ ইউনিয়ন প্লাবিত
Published: 29th, May 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে জেলার কমলনগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলনগন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত উজ জামান। তবে, ছয় ইউনিয়নের কত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত থেকে লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কমলনগর উপজেলার বেশকিছু যায়গায় বেড়িবাঁধ ও সড়ক ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এ বছরও কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা
শেরপুরে কমেছে সব নদীর পানি, বাঁধে ফাটল থাকায় আতঙ্ক
মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক সুপারভাইজার শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বুধবার রাতে নদীতে সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়। এরপরই লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।’’
ঢাকা/আমিরুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য লক ষ ম প র
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি-জোয়ারে সড়ক বিচ্ছিন্ন, মানুষের দুর্ভোগ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বলিরপোল-নাছিরগঞ্জ সড়কটি অতিবৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় ২০ হাজার বাসিন্দা চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে। পাশের ক্ষেতের কোমর পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
একই কারণে উপজেলার চরমার্টিন ও চরকালকিনিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে। বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে সাইকেল কাঁধে উঠিয়ে এক শিক্ষার্থীকে সাঁকো পারাপার হতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চলকদের ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তি
জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে চলাচল উপযোগী হলো সখিপুর-ভালুকা সড়ক
স্থানীয়রা জানায়, নাছিরগঞ্জ-বলিরপোল সড়কের আশপাশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। সড়ক ঘেঁষে পূর্বপাশে সরু খাল রয়েছে। প্রবল জোয়ারের সময় সড়কটি ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে সড়কটি ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান জানান, তীব্র জোয়ারের চাপে রবিবার (২৭ জুলাই) ভোরে সড়কটি ভেঙে যায়। পরে ১ ঘন্টার মধ্যে ভাঙনস্থল খালে পরিণত হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘‘সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চেষ্টা কররি, এখানে কালভার্ট নির্মাণের। যেন পানি যাওয়ার ব্যবস্থা হয়।’’
সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/লিটন/বকুল