১ জুনের মধ্যেই সৌদি আরবে যাবেন সব হজযাত্রী
Published: 29th, May 2025 GMT
এ বছর বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত ৮৭ হাজার ১০০ হজযাত্রীর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩১৬ জন সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাকিরা আগামী ১ জুনের মধ্যে সৌদি আরব যাবেন। এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সম্পন্ন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর-সংলগ্ন আশকোনা হজক্যাম্পে মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, ৩১ মের মধ্যে হজযাত্রী পরিবহনের প্রাথমিক যে বাধ্যবাধকতা ছিল, বিশেষ কারণে তা এক দিন বাড়াতে হয়েছে।
এবারের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বিমানের ভাড়া বেশি হওয়ায় অতীতে অনেকেই সময়মতো হজে যেতে পারেননি। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আগামীতে সমুদ্রপথে বড় জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করা বাংলাদেশের হজযাত্রীদের মধ্যে ১২ জন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন। আরও ৩৭ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, মক্কা, মদিনা ও মিনায় তিনটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি ১৬৪ জন ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ধর্ম উপদেষ্টা গতকাল হজ ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন। আজ শুক্রবার সেখানে তাঁর সরেজমিন মক্কা-মদিনায় হজযাত্রীদের খোঁজখবর নেওয়ার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ অফিসার লোকমান হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে
খুলনার কয়রা উপজেলায় মো. শহিদুল গাজী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার ছোট ভাই মো. সাহেব আলী গাজীকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার উলা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কয়রা থানার ওসি মো. ইমদাদুল হক সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হত্যায় জড়িত শহিদুল গাজীকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, দুপুরে শহিদুল গাজী তার স্ত্রীকে মারধরে করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। এ সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ি থেকে সাহেব আলী গাজী ছুটে গিয়ে ভাবিকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তখন শহিদুল হাতে থাকা শাবল দিয়ে সাহেব আলীকে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর শহিদুল বটি দিয়ে ছোট ভাই সাহেব আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে।
একপর্যায়ে শহিদুলের স্ত্রী চিৎকার করতে করতে দৌঁড় দেন। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিলে গেলে শহিদুল দৌঁড়ে বিল পাড়ি দিয়ে বারোপোতা গ্রামে যায়। এরপর হাতে থাকা শাবলের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে জোর করে সন্তোষ মিস্ত্রির ঘরে ওঠে। তখন স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে আটক করে।