স্কুলের খেলার মাঠে পশুর হাট, জানেন না প্রধান শিক্ষক
Published: 29th, May 2025 GMT
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শিবপুরে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ কোরবানির পশুর হাটের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদারও হাটের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। পশুর হাটের কারণে মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা ব্যাহত হবে। এ নিয়ে শিক্ষক, ছাত্র ও ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার ১৮টি স্থানে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট ইজারা দেওয়ার জন্য ১৮ মে নোটিশ দেন ইউএনও। নোটিশের ৫ নম্বরে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ধানুয়া খেলার মাঠও রয়েছে। নোটিশে ১২০ জন দরপত্র সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ধানুয়া খেলার মাঠে পশুর হাট বসানোর জন্য ১৬ জন দরপত্র সংগ্রহ করেন। শেষ দিন ২২ মে দরপত্র জমা দেন ৮ জন। সর্বোচ্চ দরদাতা ফারুক খান ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় স্কুলের খেলার মাঠে পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা পান। ৩০ মে, ৩ জুন ও ৬ জুন পশুর হাট বসানো হবে। ইজারার টাকা বিদ্যালয়ে জমা না দিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।
স্কুল মাঠের নিয়মিত খেলোয়াড় ধানুয়া গ্রামের সাব্বির হোসেন জানান, এই মাঠে প্রতিদিন ফুটবল খেলেন তারা। খেলাধুলা করার আর কোনো মাঠ নেই। এই মাঠে গরুর হাট বসানো ঠিক হয়নি। এতে মাঠ নোংরা হবে এবং বাঁশের কঞ্চি থেকে যাবে, যা পরে দুর্ঘটনার কারণ হবে।
তবে খেলার মাঠ ইজারার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর উদ্দিন মো.
ইউএনও ফারজানা ইয়াসমিন জানান, এখানে ১৫ বছর ধরে হাট বসানোর রেকর্ড আছে। মাঠটি বিদ্যালয় থেকেও দূরে। হাটশেষে ইজারাদার মাঠ পরিষ্কার করে দেবেন শর্তে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় পশুর হাটের দরপত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৫, আটক ১২
ফতুল্লায় সদর উপজেলায় কোরবানীর পশুর অস্থায়ী হাটের দরপত্র বিক্রি নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৮ মে) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে।
জানা যায়, বুধবার সকাল ১০ টা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ১৫টি পশু বিক্রির অস্থায়ী হাটের দরপত্র বিক্রি শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় কয়লাঘাট পশুর হাটের দরপত্র কিনে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা লাভলুর উপর হামলা করে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রুবেলের অনুসারিরা।
পুলিশের সামনে তাকে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মেরে দরপত্র ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। দুপুর ১২টায় একই হাটের দরপত্র কেনেন জাকির নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনিও দরপত্র নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই তার উপর হামলা করে রুবেল মেম্বারের অনুসারিরা।
বিকেল চারটায় বৃষ্টির মধ্যে একই হাটের দরপত্র কেনা নিয়ে পুনরায় রুবেল মেম্বারের অনুসারিরা ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ প্রধানের উপর হামলা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন, কয়লাঘাট হাট নিয়ে একটি গ্রুপ প্রতিপক্ষের উপর হামলা করেছিল। লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এবং ঘটনাস্থল থেকে ১২জনকে আটক করেছি।