দ. এশিয়ায় বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে
Published: 30th, May 2025 GMT
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিশুর সার্বিক উন্নতিতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন। এ ছাড়া অন্যান্য খাতের বাজেট কমিয়ে এ খাতে কিভাবে বরাদ্দ দিতে হবে তার রোডম্যাপ করাও জরুরি বলে মনে করেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইউনিসেফ বাংলাদেশ কার্যালয়ে এক মিডিয়া ওরিয়েন্টেশনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট : শিশুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান প্রবণতা এবং তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিশু-সম্পর্কিত সমস্যা এবং শিশুর বিকাশের ওপর বাজেট বরাদ্দের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এতে ইউনিসেফ, বাংলাদেশের সোশ্যাল পলিসি অ্যান্ড ইকোনমিক স্পেশালিস্ট মো.
প্রবন্ধে বলা হয়, সোশ্যাল খাতে আমাদের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, সেগুলো গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় অনেক কম। গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া উচিত। আমাদের দেশে বাজেটের মাত্র ১২ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছর শিক্ষা খাতে জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর দ দ দ
এছাড়াও পড়ুন:
আসামি শতবর্ষী ইদ্রিস শেখের আদালতে হাজিরা ও প্রিজন ভ্যানে যাত্রা
তখন সময় দুপুর ১২টা ৩ মিনিট। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর এজলাস কক্ষ থেকে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে একজন পুলিশ সদস্য হাত ধরে সিঁড়ির কাছে নিয়ে যেতে থাকেন। সেই বৃদ্ধের ডান হাতে একখানা লাঠি। লাঠির ওপর ভর দিয়ে তিনি সিঁড়ির কাছে যেতে থাকেন।
সিঁড়ির কাছে যাওয়ার পর তিনি কোনোভাবেই সেই সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় আসতে পারছিলেন না। দুজন পুলিশ কনস্টেবল অশীতিপর এই বৃদ্ধের দুই বাহু ধরে রাখেন।
পরে ইদ্রিস শেখের দুই বাহু ধরে দ্বিতীয় তলায় আনা হয়। তখন ইদ্রিস শেখ হাঁপাচ্ছিলেন। পরে দুজন কনস্টেবল আবার ইদ্রিস শেখের দুই বহু ধরে রাখেন। এরপর খুব সাবধানে দুই তলার সিঁড়ি দিয়ে ইদ্রিস শেখ লাঠির ওপর ভর করে নিচতলায় নামেন। তৃতীয় তলা থেকে নিচতলায় নামতে ইদ্রিস শেখের সময় লেগেছে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। ইদ্রিস শেখকে যখন নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে হাজতখানার সামনে আনা হয়, তখন তাঁর ছেলে বাবুল শেখ কেঁদে ফেলেন।
বাবুল শেখ তখন চিৎকার দিয়ে বলে ওঠেন, ‘আমার বাবার বয়স এখন ১২০ বছর। এই ১২০ বছর বয়সেও আমার বাবাকে জেলের ঘানি টানতে হবে।’
প্রিজন ভ্যানে ইদ্রিস শেখ। মঙ্গলবার ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে