মৌলভীবাজার সীমান্তে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ, জিজ্ঞাসাবাদে জানালেন হরিয়ানায় ছিলেন
Published: 30th, May 2025 GMT
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার রাজকি সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ শুক্রবার সকালে ওই সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের রাজকি বিওপি ক্যাম্পের টহল দল।
বিজিবির রাজকি বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল হাশেম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনকমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ২৬ মে ২০২৫বিজিবির ওই কমান্ডার বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ১০ জনকে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপর ওই ব্যক্তিদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। আটক ১০ জনের মধ্যে ৪ শিশু, ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থায় ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তিরা জানান, তাঁদের বাড়ি কুড়িগ্রামে। বিএসএফ ভোরের দিকে তাঁদের ঠেলে এপারে পাঠিয়েছে। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনসিলেট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ২৫ মে ২০২৫আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আবুল হাশেম আরও বলেন, আটক ব্যক্তিরা জীবিকার সন্ধানে বেশ আগে ভারতে চলে যান। সেখানে হরিয়ানা রাজ্যে তাঁরা দিনমজুরের কাজ করতেন। ৯ মে সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় তাঁদের মুঠোফোন ও পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা ক্ষুধার্ত ছিলেন। ক্যাম্পে আনার পর তাঁদের খাবার দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন৬ জেলার সীমান্তে ১০৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ২২ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ঠ ল ব এসএফ ১০ জন
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ