ভাবির কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ দেবরের
Published: 31st, May 2025 GMT
এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মধ্যবয়সী নারীর সদ্য কাটা মাথা। ঝরছে তাজা রক্ত। চোখে-মুখে কোনো আতঙ্ক নেই, নেই কোনো তাপ-উত্তাপ। নির্দ্বিধায় আত্মসমর্পণের উদ্দেশে থানার দিকে হেঁটে চলেছেন এক যুবক।
শনিবার সকালে হাড়হিম করা এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে বাসন্তী থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। যুবকের হাতে যে নারীর মুণ্ডু দেখা যাচ্ছে, তিনি সম্পর্কে যুবকের বৌদি (ভাবী)। চপার দিয়ে খুন করে মহিলার শরীর থেকে মুণ্ডু আলাদা করে ফেলেন যুবক। তারপর সেই রক্তাক্ত মাথা নিয়েই সোজা থানায় চলে যান। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল যুবক, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত নারীর নাম সতী মণ্ডল। বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযুক্ত যুবক বিমল মণ্ডলও একই এলাকাতেই থাকেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বউদি ও দেবর।
স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে আচমকা চপার দিয়ে বৌদিকে আক্রমণ করে বিমল। এতে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মুণ্ডু এবং অন্য হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একেবারে ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের পথচলতি মানুষ তাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। ধীরে ধীরে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছায়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে আকার ধারণ করে। তার জেরেই শনিবারের নৃশংস ঘটনা। তবে বউদি ও দেবরের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত কীভাবে হল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক