‘এটা তোমার কাজ নয়’, দেবাশীষ বিশ্বাসকে কেন বললেন মিশা সওদাগর
Published: 31st, May 2025 GMT
সাম্প্রতিক সময়ে উপস্থাপনা ঘিরে বিভিন্ন সময়ই বিতর্ক দেখা যায়। কেউ কেউ বলছেন, এর মূল কারণ থাকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা। এই নিয়েই সম্প্রতি ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা তুলে ধরেছেন পরিচালক ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস। তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বা অবান্তর প্রশ্ন করেন, এমন উপস্থাপকদের প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। দেবাশীষের এই স্ট্যাটাসে খল অভিনেতা মিশা সওদাগর মন্তব্য করেছেন, ‘এটা তোমার কাজ নয়।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদির আইসিইউতে ৫ মাস, দেশে ফিরে চোখ মেললেন
সাত বছর আগে সৌদি আরবে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন আবদুল জব্বার সরদার (৪৫)। বিনা বেতনে তিন বছর করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ। কোম্পানি হাওয়া হওয়ার পর ধরা দিলেও পুলিশ ছেড়ে দেয়। পরে এক বাংলাদেশির সহায়তায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। ভালোই কাটছিল। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় আবদুল জব্বারের সব এলোমলো হয়ে গেছে।
সৌদি আরবের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে পাঁচ মাস চিকিৎসার পর আরও সাত মাস ছিলেন সাধারণ শয্যায়। তাঁর মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়; মাথায় জমাট বাঁধে রক্ত। কিন্তু সেখানে ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না। প্রায় এক বছর ১২ দিন পর স্ত্রীর চেষ্টায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরেন আবদুল জব্বার। সাত দিন ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে। কঙ্কালসার দেহ ছটফট করছে শয্যায়।
আবদুল জব্বার রাজশাহীর তানোরের হিরানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি সৌদি আরব যান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর শয্যায় আবদুল জব্বারকে ছটফট করতে দেখা যায়। অনেকটা অচেতন, সারাশরীরে শুধু হাড় দেখা যায়। সেবা করছেন স্ত্রী আদুরী বেগম ও মেয়ে জলি আরা।
আদুরী বেগম সমকালকে বলেন, এ হাসপাতালে ১২ দিন আছেন। সাত দিন রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবদুল জব্বারের মেরুদণ্ড ও মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার করতে হবে। সৌদি আরবের চিকিৎসকরা এটি করলে আমার স্বামী ভালো হয়ে যেত। তারা কোনো চিকিৎসা করেননি। কিছু খেতেও দেননি। তাই অপুষ্টিতে ভুগে আমার স্বামী কঙ্কাল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর টানা পাঁচ মাস আইসিইউতে অচেতন ছিল। পরের সাত মাস ছিল শয্যায়। তবে তারা চিকিৎসাও ঠিকমতো করেনি; খেতেও দিত না। অনেক চেষ্টার পর সরকারিভাবে অচেতন অবস্থায় দেশে এনেছি। হাসপাতালের আইসিইউ থেকে বের করার পর সে চোখ মেলে তাকিয়েছে।
গত ২৫ মে আবদুল জব্বারকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে দেওয়া হয় সাধারণ শয্যায়। জব্বারের মেয়ে জলি আরা বলেন, বাবা এখনও কথা বলতে পারেন না। মাঝেমধ্যে চোখ মেলে তাকান। এখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন, মাথা ও মেরুদণ্ডে অপারেশন করতে হবে। তাহলে সুস্থ হবেন।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আবদুল জব্বার একেবারে কঙ্কাল হয়ে গেছেন। তাঁর শরীরে প্রচুর পুষ্টি দরকার। মাথায় একটি অস্ত্রোপচার লাগবে। এরপর জব্বারের জ্ঞান ফিরতে পারে। তাঁর গলার মধ্যে সৌদি আরবের আইসিইউতে ‘ট্রাকিওটমি টিউব’ দেওয়ায় কথা বলতে পারেন না। কয়েক দিনের মধ্যে এটি বের করা হবে। আশা করছি, তখন তিনি কথা বলতে পারবেন।