রংপুরে জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা-অগ্নিসংযোগসহ তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় পার্টি। পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। শনিবার বিকেলে সেন্ট্রাল রোডস্থ পার্টি অফিস থেকে মিছিলটি বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকা থেকে রংপুরে আসেন। সন্ধ্যায় তিনি নগরীর সেনপাড়ায় স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রাত ৯টার দিকে কয়েকজন তরুণের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জি এম কাদেরের বাসভবনে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা জি এম কাদের যে কক্ষে ছিলেন সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন। জি এম কাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় বাসভবনের সামনে থাকা মোটরসাইকেলে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ শেষে পায়রা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটির সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নেই। যদি থাকতো তাহলে এভাবে কারও বাসায় হামলা হতো না। এখন ইচ্ছে হলেই ২০-৫০ জন একসঙ্গে হয়ে মব ভায়ালেন্স করছে।

পার্টির চেয়ারম্যানের বাসায় হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা দায়ি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেছন থেকে কেন, সাহস থাকলে সামনে আসেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হোক আর এনসিপি হোক, এই হামলার ঘটনায় রংপুরে জাতীয় পার্টি কাউকে ছাড় দেবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এম ক দ র ব সভবন

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ

জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।

আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।

তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।

বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ