তাঁকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সৌন্দর্য আর অভিনয়দক্ষতা তো ছিলই, যৌনতার প্রতীক হিসেবেও সারা দুনিয়ায় সম্ভবত সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছে তাঁকে নিয়েই। আজ ১ জুন, মেরিলিন মনরোর ৯৯তম জন্মদিন। ১৯২৬ সালের আজকের দিনেই লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম হয় তাঁর। এই তারকার জন্মদিন উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক জানা-অজানা কিছু তথ্য।

নোর্মা জিন মর্টেনসন
মেরিলিনের জন্মগত নাম ছিল নোর্মা জিন মর্টেনসন। শৈশব কেটেছে বিভিন্ন অনাথ আশ্রম, সরকারি হোম ও পারিবারিক বন্ধুদের আশ্রয়ে। পিতৃপরিচয়হীন নোর্মার মা ছিলেন মানসিক রোগী। সিঙ্গেল মাদার হয়ে মেয়েকে বড় করার মতো অবস্থায় তিনি ছিলেন না।
পঞ্চদশী নোর্মা তখন থাকছিলেন পারিবারিক বন্ধু গ্রেস গোডার্ডদের পরিবারে। কিন্তু গোডার্ড পরিবারকে হঠাৎ ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় চলে যেতে হলো। নোর্মাকে তাঁরা নিয়ে যেতে পারলেন না। নোর্মার সামনে তখন দুটি উপায়। হয় অনাথ আশ্রমে ফিরে যাও, নয়তো বিয়ে করো। ষোলো বছরে তাঁর বিয়ে হলো জেমস ডুগার্টির সঙ্গে। বিয়ের দুই বছর পরে তাঁর স্বামীকে জাহাজের চাকরিতে চলে যেতে হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। মেরিলিন চলে গেলেন ক্যালিফোর্নিয়া, তাঁর শ্বশুর–শাশুড়ির সঙ্গে থাকতে।

প্রথম ফটোশুট
ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ নিলেন মেরিলিন। সেখানে একদিন ফটোশুট করতে এলেন ডেভিড কোনোভার। মার্কিন বিমানবাহিনী থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। কর্মক্ষেত্রে নারীদের মনোবল বাড়াতে নারী কর্মীদের ছবি তুলতে এসেছিলেন তিনি। তবে যে জন্য ছবি তোলা, সেই উদ্দেশে মেরিলিনের একটি ছবিও ব্যবহৃত হয়নি। কিন্তু এর ফলেই তাঁর সামনে খুলে গিয়েছিল মডেলিংয়ের দরজা। কয়েক দিনের মধ্যে তিনি চাকরি ছেড়ে কোনোভারের জন্য মডেলিং শুরু করলেন। তখন নাম নিয়েছিলেন জিন নর্ম্যান। এর মধ্যেই এল সিনেমার সুযোগ।

সিনেমার দৃশ্যে মেরিলিন মনরো। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ