বৃষ্টি বাগড়ায় পশুর হাটে ক্রেতা কম, দুঃশিন্তায় ব্যবসায়ীরা
Published: 1st, June 2025 GMT
আগামী ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। তবে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সমাগম অনেকটাই কম পশুর হাটগুলোতে। ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যাপারী ও পশু নিয়ে হাটে আসা খামারিরা।
রবিবার (১ জুন) রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন কোরবানির হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে রাখা হচ্ছে কোরবানির পশু। বৃষ্টির মধ্যে কাদা-পানি থেকে রক্ষা করতে বালু নিয়ে গরুর দাঁড়ানোর জায়গা উঁচু করা হয়েছে, ত্রিপল ও পলিথিন দিয়ে উপরে দেওয়া হয়েছে ছাউনি।
হাটে এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর থেকে ট্রাকে করে কোরবানির পশু এনেছেন কৃষক, খামারি ও ব্যাপারীরা। এক লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত গরুর দাম হাঁকছেন তারা।
আরো পড়ুন:
‘সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না’
কুড়িগ্রামে পশু হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়, বিএনপি নেতা আটক
খামারি ও ব্যাপারীরা বলছেন, রবিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। টানা চারদিন ধরে বৃষ্টি ও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে হাটে ক্রেতা সমাগম কম। আগামী দুই-তিন দিন পর কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠতে পারে।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৩ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হবে। হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে জাল নোট শনাক্তে বুথ বসানো হয়েছে।
হাটে পশু কিনতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এবারের কোরবানির পশুর দাম বাড়তি। অতিরিক্ত দামের জন্য পছন্দের পশু কিনতে চলছে টানাপোড়েন। যে টাকার বাজেট নিয়ে তারা হাটে কোরবানির পশু কিনতে এসেছেন, সেই টাকার মধ্যে মনের মতো পশু মিলছে না।
বিক্রেতারা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়ায় বাড়তি দামে পশু বিক্র করতে হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি দামে পশু বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাসাবো কদমতলা থেকে বৃষ্টি ও কাদার মধ্যে হাটে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী মোফাজ্জাল মিয়া বলেন, “বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ভালোভাবে গরু দেখা যাচ্ছে না।”
চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী সোরব আলী বলেন, “গত ৩০ মে ১৬টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা খুবই কম। যারা গরু দেখতে আসছেন তারা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। গোখাদ্যের দাম অনেক বাড়তি, তাই এবার একটু বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের পাশে এই হাটের ইজারা পেয়েছে সিকদার কনস্ট্রাকশন। হাটের ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৪ টাকা।
ঢাকা/এনটি/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।
বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।
বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট
সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন
বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।
এজন্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।
আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’
এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।
তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।
মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।
ঢাকা/ইয়াসিন