সিঙ্গারা খাওয়ানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
Published: 2nd, June 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার গোপদীঘি ইউনিয়নের গোপদীঘি বাজারের এক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে মিঠামইন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, জলিল মিয়া নামে এক হোটেল দোকানি ওই শিশুকে সিঙ্গারা খাওয়ানোর কথা বলে দোকানের ভেতর নিয়ে যায়। একপর্যায়ে দাতে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে জলিল মিয়া পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি মা বাবাকে জানায় ওই শিশু। তারা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযুক্ত দোকানি তিন সন্তানের জনক। তিনি একই ইউনিয়নের সরালিয়া হাটির খুর্শিদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার প্রতিবাদের রোববার সন্ধ্যায় অভিযুক্তের বিচার দাবিতে মিছিল করেছে গ্রামবাসী। অভিযুক্ত জলিল মিয়া বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির সক্ষমতা প্রমাণে আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সক্ষম কিনা, তা প্রমাণে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া রয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদ বিলোপে প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যার মাধ্যমে ন্যায্য সরকার গঠিত হবে।
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কীভাবে হবে– প্রশ্ন রেখে শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলেন। এর ভিত্তিতে একানব্বইয়ের নির্বাচন হয়, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সমস্যা হলো, জিতলে বলে নির্বাচন সুষ্ঠু, হারলে বলি দুষ্ট। ন্যায়বিচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। যেখানে জনগণ ভোট দিতে পারবে। কেউ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং করার দুঃসাহস দেখাবে না।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বিএনপি। নির্বাচনের বিচার, সুষ্ঠু ভোটার তালিকা, জুলাই সনদ, ঘোষণাসহ পাঁচটি ন্যূনতম সংস্কারের শর্ত দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটি সময়সীমা দিয়েছেন, জামায়াতও মতামত দিয়েছে। আগামী রমজানের আগে নির্বাচন হতে পারে। কোনো কারণে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে এপ্রিলের মধ্যে হওয়া উচিত।
গুমের শিকার এবং আওয়ামী লীগ আমলে বরখাস্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের কয়েকজন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন। বরখাস্ত কর্নেল হাসিন প্রশ্ন করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার, জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়নে জামায়াতের অবস্থান কী? জবাবে জামায়াত আমির বলেন, শুধু সেনাবাহিনী কেন, আরও জায়গায় অনেক সংস্কার দরকার। বেশি জরুরি রাজনৈতিক দলের সংস্কার।
তিনি বলেন, আশা করছি, দ্রুত নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাব। এখনকার নির্বাচন কমিশন যেন চেয়ারের সম্মান করে জামায়াতকে প্রতীক ফিরিয়ে দেয়। ব্যতিক্রম হলে জামায়াত চুপ থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুমসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।