কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার গোপদীঘি ইউনিয়নের গোপদীঘি বাজারের এক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে মিঠামইন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, জলিল মিয়া নামে এক হোটেল দোকানি ওই শিশুকে শিঙাড়া খাওয়ানোর কথা বলে দোকানের ভেতর নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে জলিল মিয়া পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি মা বাবাকে জানায় ওই শিশু। তারা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।

অভিযুক্ত দোকানি তিন সন্তানের জনক। তিনি একই ইউনিয়নের সরালিয়া হাটির খুর্শিদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যায় অভিযুক্তের বিচার দাবিতে মিছিল করেছে গ্রামবাসী। অভিযুক্ত জলিল মিয়া বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

এবার চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস

সাময়িক বরখাস্তের পর এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’–এর কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই দণ্ড কার্যকর হবে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন তথ্য ও অভিযোগ উল্লেখ করে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক হিসেবে নিয়োগের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে যোগদানও করেন। তাঁর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ায় তাঁর আদেশ প্রত্যাহার বা বাতিলের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি গত বছরের ৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এরপর তাঁকে যুগ্ম সচিব হিসেবে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেননি। অর্থাৎ তিনি গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এখনো বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুসারে ‘পলায়ন’–এর পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।

ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মামলা রুজু হওয়াসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া, তদন্ত বোর্ড গঠন ও সরকারি কর্ম কমিশনের মতামতের কথা তুলে ধরা হয় প্রজ্ঞাপনে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ‘চাকরি থেকে বরখাস্ত’ করার দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে, বরখাস্ত হওয়া যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস গতকাল রাতে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘অবৈধ ইউনূস সরকার আমাকে নাকি বরখাস্ত করছে! আজ থেকে আমি মুক্ত, স্বাধীন। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে এমন অথর্ব সরকারের অধীনে আমাকে একদিনও চাকরি করতে হয়নি। থ্রি চিয়ার্স ফর “মোখলেসীয় সিভিল সার্ভিস”।’

আরও পড়ুনতিন সচিবসহ যেসব কর্মকর্তাকে পাঠানো হলো বাধ্যতামূলক অবসরে২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ