সিলেট সিটি করপোরেশনের ভ্যানে করে প্লাস্টিকসহ ময়লা-আবর্জনা সুরমা নদীতে ফেলার অভিযোগে তিন কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার।

এর আগে গতকাল দুপুরে সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীতে ময়লা ফেলার একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, সিলেট নগরের অভ্যন্তরে প্রবাহিত সুরমা নদীর কিনব্রিজ এলাকায় একটি ভ্যান দাঁড় করিয়ে নদীতে পলিথিনসহ অন্য ময়লা ফেলা হচ্ছে। ‘সিলেট সিটি করপোরেশন’ লেখা ভ্যান থেকে দুই ব্যক্তি ময়লা ফেলছিলেন। তাঁদের গায়ে সিটি করপোরেশনের পোশাক পরা ছিল। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেকজন।

ওই তিনজনকে শনাক্ত করার দাবি করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সুরমা নদী দূষণ ও এতে ময়লা ফেলতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বরাবরই জনসাধারণকে নিরুৎসাহিত করে আসছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মী এতে জড়িত থাকার বিষয়টি মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে শনাক্ত করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত করা হবে। তাঁদের বাইরে আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা