প্রাইভেট পড়ে মোটরসাইকেলে ফিরছিল ৩ বন্ধু, বাসের চাপায় মৃত্যু
Published: 2nd, June 2025 GMT
মাগুরায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছে সাজিম মোল্লা (২০) ও জিসান ইসলাম (১৯) ও রবিন মিয়া (১৮) নামে মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু।
রবিবার (১ জুন) বিকেলে পৌরসভার আবালপুর এলাকায় মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজিম মোল্লা মাগুরা সদর উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বকুল মোল্লার ছেলে, রবিন মিয়া হাজিপুর পশ্চিমপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে এবং জিসান ইসলাম শালিখা উপজেলার গজদুর্বা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত তিনজন বন্ধু। রবিবার সারাদিন তারা একসঙ্গেই ছিলেন। তাদের মধ্যে সাজিম ও জিসান মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁরা মাগুরা শহর থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। একটি বাসকে পাশ কাটিয়ে সামনে যাওয়ার সময় অন্য বাসের চাপায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হন।
নিহতদের স্বজনেরা জানান, সাজিম, জিসান ও রবিন খুব কাছের বন্ধু ছিল। দুর্ঘটনায় একসঙ্গে তিনজনের মারা গেছে। তাদের লাশ বাড়িতে আনার পর দিনের বিভিন্ন সময়ে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে তিন এলাকার তিন বন্ধুর অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তিনজন সম্ভাবনাময় তরুণ সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তাদের পরিবার। বাবা-মা কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই। সাজিমের বাবা বকুল মোল্লা বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন। জ্ঞান ফিরলেই চিৎকার করে বলতে থাকেন- ‘‘আমার কতো আশা ছিলো। তুই আমার সংসারের হাল ধরবি। আমার সব শেষ হয়ে গেলো।’’
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে গেছে।
মাগুরা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আবালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠের সামনে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলটি একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় আরেকটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
ঢাকা/শাহীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কিরণ-রীনা এখনও আমার জীবনের বড় অংশ: আমির খান
নতুন প্রেম নিয়ে কয়েক মাসে বলিউড অভিনেতা আমির খান ও গৌরীকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। অবশ্য প্রেমের আভাস দিয়ে গৌরীকে সবার সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছেন আমির নিজেই। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেছে দুজনকে। নতুন প্রেম নিয়ে আলোচনার মধ্যেই অতীতের বিবাহ সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন আমির।
আমির খান জানান, তিনি একসময় ভেবেছিলেন নতুন সঙ্গী খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন হবে। তাই গৌরী সঙ্গে দেখা করার আগে তিনি থেরাপির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন এবং নিজেকে সুস্থ করার জন্য কাজ করেন।
গৌরীর সাথে তার দেখা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, আমির রাজ শামানির পডকাস্টে বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং ভাবছিলাম জীবনের এই পর্যায়ে আমি কার সাথে দেখা করব। থেরাপির সময়, আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার প্রথমে নিজেকে ভালোবাসা এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
গৌরীর সঙ্গে কীভাবে তার পরিচয় হয়েছিল, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আমির বলেন, ‘গৌরীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল একদম ভুলবশত, কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা সংযোগ তৈরি হয় এবং আমরা বন্ধুত্ব গড়ে তুলি, এরপর ভালোবাসা আসে।’
অতীতে রীনা দত্ত এবং কিরণ রাওয়ের সঙ্গে তার গভীর এবং অর্থপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এখনও তিনি উভয়ের সাথেই ঘনিষ্ঠ বন্ধন ভাগ করে নেন।
আমির খানের কথায়, ‘বিচ্ছেদ মানেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়া নয়। রীনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে এখন সম্পর্ক আছে। আমরা একে অপরকে সম্মান করি এবং একে অপরের জীবনের অংশ।’
আমিরের ভাষ্য, ‘কিরণ, রীনা এবং আমি এখনও পানি ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে করি, আমরা প্রতিদিনই বসে কথা বলি। আমাদের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা রয়েছে। আমরা একটি পরিবারের মতো এবং সবসময় তাইই থাকব। আমরা হয়তো স্বামী-স্ত্রী নই, কিন্তু আমরা সবসময়ই একটি পরিবার। ওরা সবসময়ই আমার জীবনের অবিচল অংশ হয়ে থাকবে।”