কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি করলে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে
Published: 2nd, June 2025 GMT
কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি করলে চামড়াশিল্প নগরীতে ক্রাস্ট ও ফিনিশড চামড়া উৎপাদনে ট্যানারিমালিকদের ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণ বাড়বে এবং ফুটওয়্যার ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লোকসানে পড়বে।
ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়াশিল্প নগর এলাকায় বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইউএ) ভবনের হল রুমে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল।
পশুর শরীর থেকে প্রথমে চামড়া ও পরে পশম ছাড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত করার পর যে চামড়া পাওয়া যায়, তাকেই ওয়েট ব্লু চামড়া বলা হয়। সম্প্রতি কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ওই সিদ্ধান্তের প্রভাব জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএফএলএলএফইউএ।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে এম এ আউয়াল বলেন, কাঁচা চামড়ার অভাবে উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে মেশিনারিজ নষ্ট হয়ে যাবে, মূল্য সংযোজনের পরিমাণ কমে যাবে, লেদার সেক্টরের মোট রপ্তানি আয় শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম হবে, যার ফলে ট্যানারি সেক্টরে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা বেকার হয়ে পড়বেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্যানারিশিল্পের মালিকদের দিকটি বিবেচনা না করে গত ২৫ মে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এম এ আউয়াল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানারিশিল্পকে রক্ষার জন্য শিল্প উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি সুপারিশপত্র প্রদান করেন। পরে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে বিএফএলএলএফইএর প্রধান উপদেষ্টাসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের জন্য অনুরোধ করেন।
এম এ আউয়াল বলেন, গত ৫ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (রপ্তানি) আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ে একাধিকবার আবেদনের পর এখন পর্যন্ত ওই কমিটির কোনো সভার আয়োজন করা হয়নি এবং ট্রামস অব রেফারেন্স ‘TOR’ অনুসারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ ২৫ মে ট্যানারিশিল্পের মালিকদের গুরুত্ব না দিয়ে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা ও ট্যানারি সেক্টরের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে অবিলম্বে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির এ আত্মঘাতী আদেশ বাতিল করা জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফএলএলএফইর প্রধান উপদেষ্টা এম এ রশিদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে চামড়াশিল্প নগরীর প্রধান ফটকের সামনে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন এ খাত–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও বিভিন্ন ট্যানারির শ্রমিকেরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি করলে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে
কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি করলে চামড়াশিল্প নগরীতে ক্রাস্ট ও ফিনিশড চামড়া উৎপাদনে ট্যানারিমালিকদের ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণ বাড়বে এবং ফুটওয়্যার ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লোকসানে পড়বে।
ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়াশিল্প নগর এলাকায় বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইউএ) ভবনের হল রুমে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল।
পশুর শরীর থেকে প্রথমে চামড়া ও পরে পশম ছাড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত করার পর যে চামড়া পাওয়া যায়, তাকেই ওয়েট ব্লু চামড়া বলা হয়। সম্প্রতি কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ওই সিদ্ধান্তের প্রভাব জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএফএলএলএফইউএ।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে এম এ আউয়াল বলেন, কাঁচা চামড়ার অভাবে উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে মেশিনারিজ নষ্ট হয়ে যাবে, মূল্য সংযোজনের পরিমাণ কমে যাবে, লেদার সেক্টরের মোট রপ্তানি আয় শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম হবে, যার ফলে ট্যানারি সেক্টরে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা বেকার হয়ে পড়বেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্যানারিশিল্পের মালিকদের দিকটি বিবেচনা না করে গত ২৫ মে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এম এ আউয়াল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানারিশিল্পকে রক্ষার জন্য শিল্প উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি সুপারিশপত্র প্রদান করেন। পরে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে বিএফএলএলএফইএর প্রধান উপদেষ্টাসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের জন্য অনুরোধ করেন।
এম এ আউয়াল বলেন, গত ৫ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (রপ্তানি) আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ে একাধিকবার আবেদনের পর এখন পর্যন্ত ওই কমিটির কোনো সভার আয়োজন করা হয়নি এবং ট্রামস অব রেফারেন্স ‘TOR’ অনুসারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ ২৫ মে ট্যানারিশিল্পের মালিকদের গুরুত্ব না দিয়ে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা ও ট্যানারি সেক্টরের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে অবিলম্বে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির এ আত্মঘাতী আদেশ বাতিল করা জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফএলএলএফইর প্রধান উপদেষ্টা এম এ রশিদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে চামড়াশিল্প নগরীর প্রধান ফটকের সামনে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন এ খাত–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও বিভিন্ন ট্যানারির শ্রমিকেরা।