একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর মামলা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় এ মামলা করেন খলিলুর রহমান নামের ওই পোলিং এজেন্ট।

মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক প্রার্থী জি এম কাদের, তাঁর স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদের, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জাহিদ হাসানসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী খলিলুর রহমান লালমনিরহাট পৌরসভার সাধুটারী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের বিএনপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন তিনি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খলিলুর রহমানকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয় শুনে ভোটের আগের দিন, ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে যান। তাঁরা বলেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে ‘লাশ হয়ে ফিরতে হবে’। এরপরও খলিলুর রহমান দায়িত্ব পালনের জন্য ভোটকেন্দ্রে যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জি এম কাদের ও শেরিফা কাদেরের নির্দেশে কয়েকজন তাঁকে কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও গালিগালাজ করেন। উপস্থিত লোকজন পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এজাহারে বলা হয়, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। স্বৈরশাসকদের ভয়ে কোথাও মামলা করার সাহস হয়নি। এ কারণে মামলা করতে এত বিলম্ব হয়েছে।

খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আওয়ামী লীগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়ে জি এম কাদের ফ্যাসিস্ট সরকারের বৈধতা দিয়েছে। তাঁর আমলে নির্বাচন কীভাবে হয়েছে, তার একটি সামান্য নমুনা হচ্ছে বিএনপির পোলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে ভয়ভীতি ও মারধর করে বের করে দেওয়া।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে মারধর, সাধারণ জখম, হত্যাচেষ্টা, হুমকি ও হুকুমদানের অভিযোগে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ টক ন দ র এম ক দ র ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদ যাত্রায় উত্তরের পথে দ্বিগুণ যানবাহনের চাপ

সড়ক পথে ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন দ্বিগুণ গাড়ি চলাচল করছে সড়কে। ঘরমুখো মানুষদের অনেকেই গরুবাহী খোলা ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন।

বুধবার (৪ জুন) সকালে মহাসড়কের নগরজলফৈ, রাবনা ও এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গণপরিবহনের জন্য মানুষদের সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে, আজ ভোরের দিকে যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকল হয়। ফলে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

আরো পড়ুন:

ঈদযাত্রায় প্রস্তুত পাটুরিয়া-আরিচা নৌরুট

যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার যানবাহন পারাপার

রাজশাহীগামী সুলতান বেপারি বলেন, “বাসগুলো ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আদায় করছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” 

বাস চালক গফুর মিয়া বলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যেতে হয়। এ কারণে কিছুটা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও বর্তমানে সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।”

যমুনা সেতুর পূর্ব থানার ওসি ফয়েজ আহমেদ বলেন, “মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই। মহাসড়কে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ