গুগল ম্যাপ দেখে ঘুরতে ঘুরতে রংপুরের এক গ্রামে গিয়ে সেনা সহায়তায় ফিরলেন ইরানি দম্পতি, আটক ৪
Published: 2nd, June 2025 GMT
বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছেন ইরানি এক দম্পতি। উঠেছেন রংপুরের এক হোটেলে। আজ সোমবার প্রাইভেট কার ভাড়া করে নিজেরা গাড়ি চালিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে তাঁরা চলছিলেন। একপর্যায়ে ঢুকে পড়েন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়ন দক্ষিণ ঘনিরামপুর রামপুরা গ্রামে। সেখানে পথ ভুলে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষের সাহায্য চান তাঁরা। কিন্তু সেখানে উপস্থিত কিছু মানুষ তাঁদের মারধর করে ডলার, মুঠোফোন, হাতঘড়ি, পাসপোর্টসহ সঙ্গে থাকা সবকিছু ছিনিয়ে নেন।
এ খবর চলে যায় তারাগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে। ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সানিয়াত চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান। এরপর ইরানি দম্পতিকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটকসহ ছিনিয়ে নেওয়া সবকিছু উদ্ধার করেছেন।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুগল ম্যাপ দেখে যাওয়ার সময় পথ ভুল করে সাদা রঙের প্রাইভেট কারে দক্ষিণ ঘনিরাপুর রামপুরা এলাকায় পৌঁছান ইরানি নাগরিক হোসেইন সেলিম রেজা (৬৪) ও ইয়াজদানজো ইয়াসমিন (৫৭)। পথ ভুল হওয়ায় তাঁরা সেখানকার স্থানীয় লোকজনের কাছে সাহায্য চান। কিন্তু ভাষা বুঝতে না পেরে তাঁদের কাছে থাকা থাকা ডলার, মুঠোফোন, একটি হাতঘড়ি ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করেন কিছু মানুষ। এরপর খবর পেয়ে দুপুর ১২টায় সেখানে ছুটে যায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ইউএনও।
সেখান থেকে এ ঘটনায় জড়িত ওই গ্রামের রশিদুল ইসলাম (৪২), মেরাজুল ইসলাম (৩৮), মনোয়ারা বেগম (৩৫) ও রাবেয়া বেগমকে (৪৫) আটক করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর পেট্রল দলের গাড়িবহরের কড়া নিরাপত্তা দিয়ে দুই ইরানি নাগরিককে রংপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এবং তাঁদের নিরাপদে হোটেলে পৌঁছে দেয় সেনাবাহিনী।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ইরানি দম্পতিকে মারধর করে ডলার, মুঠোফোন, পাসপোর্ট ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনী পুলিশে সোর্পদ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।