আইপিএল ফাইনাল: চ্যাটজিপিটির হিসাবে যে দল চ্যাম্পিয়ন
Published: 3rd, June 2025 GMT
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ আইপিএলের ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় এ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব কিংস। দুই দলই এখনো আইপিএল ট্রফি জিততে পারেনি।
এবার ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হবে কে? ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রশ্ন রেখেছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির (এআই) তিনটি প্ল্যাটফর্মে—যুক্তরাষ্ট্রের এক্সএআই প্রতিষ্ঠানের ‘গ্রোক’, সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ‘জেমিনি’ ও যুক্তরাস্ট্রের ওপেনএআইয়ের ‘চ্যাটজিপিটি’।
মজার বিষয়, তিনটি এআই প্রযুক্তিই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে একই দলকে বেছে নিয়েছে। আসুন জেনে নিই কারা সেই চ্যাম্পিয়ন দল—এক্স গ্রোক:
যতটুকু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে তাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুই (আরসিবি) এগিয়ে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাব কিংসকে তারা ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। প্রতিপক্ষকে মাত্র ১০১ রানে অলআউট করে ৬০ বল হাতে রেখে জিতেছে। আরসিবির বোলিংয়ের নেতৃত্বে থাকা জশ হ্যাজলউড (১১ ম্যাচে ২১ উইকেট) ও সুয়ুশ শর্মা দারুণ ফর্মে আছেন। তাদের ব্যাটিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু বিরাট কোহলি (৫৫.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রত্যেক বাহিনীকেই গুমের কাজে ব্যবহার করেছে আ’লীগ
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভিন্নমতাবলম্বীদের গুম করতে প্রত্যেক বাহিনীকেই ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ডিবি ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য বাহিনী। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি গুমের শিকার হয়েছেন।
গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে গুম কমিশনের দেওয়া দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ পর্যন্ত পড়া ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগের মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে এ মতামত দিয়েছে কমিশন। ২০২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রতিটি বাহিনী কীভাবে গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন এবং পরে ক্রসফায়ারে দিয়েছে। যেসব সংস্থা গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তারা বেশির ভাগই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। পুলিশ, র্যাব, এনএসআই, সিআইডি, ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের মতো বাহিনীগুলো এ কাজ করেছে। র্যাবের বিষয়ে বলা হয়েছে, তাদের ১৫টি ব্যাটালিয়ান সারাদেশে কাজ করেছে। এদের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমেই গুমের ঘটনা ঘটেছে। এসব গুমের বিষয়ে র্যাবের ডিজি, এডিজিসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তরা অবগত থাকতেন। গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল সংস্থাটি।
ডিবির নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, তারা ধরে নিয়ে যখন-তখন নির্যাতন করত। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটাত। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে (ডিজিএফআই) বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় কাজে ব্যবহার করেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) যেখানে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য প্রদানের কথা, সেখানে এই সংস্থাটিকেও বিরোধী মত দমনপীড়নে ব্যবহার করা হয়েছে।
সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডও (বিজিবি) গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছিল। কখনও গুমের শিকার ব্যক্তিকে ভিন্ন দেশে বিশেষ করে ভারত ও মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ডলার ও রহমতুল্লাহর নাম উল্লেখ করা হয়।
যারা গুম বা অপহরণের শিকার হয়েছে কখনও ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে বছরওয়ারি কতজন গুম হয়েছেন যাদের কোনো হদিস মেলেনি, তার একটি গ্রাফও তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৭ সালে ৫১ জন গুম হয়েছেন। এ ছাড়া প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন সংখ্যক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন বলে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।