পোশাক: লা রিভ, সাজ: অরা বিউটি লাউঞ্জ, স্থান কৃতজ্ঞতা: সানসেট বিনস, ছবি: কবির হোসেন

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সেতু দেবে আখাউড়া-কসবা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার মোগড়া এলাকায় আখাউড়া-কসবা সড়কের কাকিনা খালের ওপরের সেতু মধ্যরাতে মাঝ বরাবর দেবে গেছে। এতে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখানে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশের দুই পাশে রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুর দুই পাশে সড়কের সংযোগেও ফাটল ধরেছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে বাঁশ বেঁধে দুর্ঘটনা এড়াতে জনস্বার্থে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেতুটি পরিদর্শন করেছেন।

আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় (এলজিইডি) বলছে কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার। তবে ঈদুল আজহার ছুটি থাকায় এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, সেতুর নির্মাণ সাল ও নির্মাণ ব্যয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কাউছার চৌধুরী বলেন, রাতে কোনো এক সময় হয়ত ভারী কোনো গাড়ি চলাচলের জন্য সেতুর মাঝ বরাবর পিলার দেবে গেছে। এই পথে বহু মানুষের যাতায়াত। সেতুটি দেবে যাওয়ার ফলে আখাউড়া-কসবাসহ উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

সেতুর পাশে হানিফ মিয়া নামে বাঁশ ব্যবসায়ী বলেন, ফজরের নামাজের পর এসে দেখি সেতুর এই অবস্থা। পরে বেলা ১১টার পর প্রশাসনের লোকজন এসে সেতুর দুই পাশে বাঁশ বেঁধে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আক্তার মিয়া বলেন, কাকিনা সেতুর মাঝের অংশ দেবে যাওয়ায় সকাল থেকে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। এতে করে প্রায় ৫-৮ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি তার।

উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, কাকিনা সেতুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে নতুন সেতুর জন্য কাগজপত্র পাঠাবো। আপাতত কী করবো, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সংযোগ কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতু দেবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জনস্বার্থে যানচলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মনিয়ন্দ এলাকায় যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে গোয়াল গাঙ্গাইল গ্রাম আর কসবা যাতায়াতের জন্য ধরখার সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। ঈদের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ