পটুয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক জিনাত জাহানের স‌ঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে মঙ্গলবার দুই পু‌লিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হ‌য়ে‌ছে।

জয় দাস ও আবু বকর নামের ওই দুই কনস্টেবলকে পটুয়াখালী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে। পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাজাদুল ইসলাম সজল বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার পটুয়াখালী পু‌লিশ সুপা‌রের কা‌ছে লি‌খিত অভিযোগে ক‌রে‌ছি‌লেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক জিনাত জাহান। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ ক‌রা হয়, গত রোববার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দি‌কে তিনি তাঁর মুঠোফোনের সিম চুরিসংক্রান্ত ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় যান। এ সময় থানায় উপস্থিত সাদাপোশাকধারী পুলিশ সদস্য আবু বকর ও জয় দাসকে বিষয়‌টি জানান। এ সময় ওই দুই পু‌লিশ সদস‌্য তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চান। জিনাত এ সময় তাঁর রাজ‌নৈ‌তিক প‌রিচয় দেওয়ার পর দুই পুলিশ সদস্য তাঁকে নিয়ে উপহাস করেন। দীর্ঘ সময় তাঁকে থানায় ব‌সি‌য়ে রে‌খেও কোনো সহযোগিতা করেননি ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে উপপরিদর্শক (এসআই) ইসরাইল এসে সমস্যার সমাধান ক‌রেন।

জিনাত জাহান বলেন, সদর থানার দুই পুলিশ সদস্য তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করায় তিনি এসপির কাছে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগের কারণে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে, এমন তথ্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সা‌জেদুল ইসলাম সজল জানান, পু‌লিশের দুই সদ‌স্যের বিরু‌দ্ধে লি‌খিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের ওই দুই সদস্যকে প্রত্যাহার ক‌রে পু‌লিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ই প ল শ সদস য ওই দ ই

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিতে কোরবানির পশুর দাম কমার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

কোরবানির ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে।

তবে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীতে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের আর একদিন বাকি থাকলেও বৃষ্টির কারণে পশুর হাটে ক্রেতার উপস্থিতি কম। ফলে বৃষ্টির কারণে দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কায় পশু বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর, তেজগাঁও ও মেরুল বাড্ডার হাট ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। পশু বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে হাটে তুলনামূলক লোক সমাগম কম। ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতারা দাম বলছেন না। বৃষ্টি হলে দাম পড়ে যায়, আবার রোদ উঠলে দাম বাড়ে। তাই বৃষ্টি কমার আশায় রয়েছেন পশু বিক্রেতারা। বৃষ্টি না হলে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠবে।

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরবানিতে ৯০০ কোটি টাকার পশু বাণিজ্য

সরবরাহ বেড়েছে, তাই গরুর দাম কম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এদিকে, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ হাটে গরু দাম কিছুটা কম বলে মনে করেন কোরবানির পশু কিনতে আসা কিছু ক্রেতা। আবার অনেক ক্রেতাই বলছেন, এখনও চড়া দাম হাঁকা ছাড়ছেন না পশু বিক্রেতারা।

এখনো কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, ও ফরিদপুর থেকে ট্রাকে করে বিভিন্ন হাটে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা। হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে রাখা হচ্ছে পশুগুলো। বৃষ্টির মধ্যে কাদা-পানি থেকে গরুকে রক্ষা করতে দাঁড়ানোর জায়গা উঁচু করা হয়েছে, ত্রিপল ও পলিথিন দিয়ে উপরে দেওয়া হয়েছে ছাউনি। আর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে জাল নোট শনাক্তে বুথ বসানো হয়েছে।

উত্তর শাহজাহানপুরে চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী মো মনির বলেন, “হাটে গরু নিয়ে হাটে এসেছি ২৬টি। এ পর্যন্ত ১৫টা বিক্রি হয়েছে। বাকি আছে ১১টা। গরুগুলো বড় আকারের। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় সেগুলো দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে। তবে বৃষ্টির কারণে গরুর দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কায় আছি।”

মেরুল বাড্ডায় সিরাজগঞ্জ থেকে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী ফজল আহমেদ। তিনি বলেন, “সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাওয়ার দামও প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পাচ্ছি না।”

দক্ষিণ বনশ্রী থেকে মেরুল বাড্ডা হাটে নাতিকে নিয়ে গরু কিনতে এসেছেন আমিনুর রহমান। দর-দাম করে ৮২ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন। গরুটি এই দামে কিনতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, “মেরুল বাড্ডা হাটে দরদাম করে কিনতে পারলে প্রত্যাশা অনুযায়ী পশু কেনা যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। তাই আজকেই গরু কিনে ফেললাম।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ