ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের জন্য ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। 

বুধবার (৪ জুন) সকাল ৯টায় রাজধানীর মতিঝিল আন্তর্জাতিক বাস ডিপোতে এই বিশেষ সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বিআরটিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদ উপলক্ষ্যে বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিস গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। তবে, এই সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আজ। এবারের ঈদযাত্রায় নিয়মিত বাস রুটের বাইরে প্রায় ৬৫০টি বাস ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চলাচল করবে। এর আগে, গত ২৪ মে থেকে বিআরটিসির সংশ্লিষ্ট ডিপো থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রয় শুরু হয়।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মাগুরায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত

বিআরটিসির গণজনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে যাত্রীদের নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যাত্রা নিশ্চিত করতেই এই বিশেষ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা মেটাতে বিআরটিসি পরিবহন বহরে যুক্ত করা হয়েছে বাড়তি বাস।

এদিকে, বিআরটিসির নতুন চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা এই বিশেষ সেবার আওতায় থাকা সব গাড়ি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা এবং অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।

ঈদ সার্ভিসের প্রতিটি গাড়িতে চালকের নাম, মোবাইল নম্বর, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও প্রধান কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের নম্বর সম্বলিত স্টিকার লাগানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। যাতে করে যাত্রীরা যেকোনো সমস্যার বিষয়ে বিআরটিসিকে অবগত করতে পারেন।

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ঈদ স প শ ল স র ভ স ব আরট স র পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে অনলাইন পশুর হাটে ৪ হাজার খামারি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পেজে গত ২০ মে দেশি লাল গরু ‘তুফান’-এর ছবি পোস্ট করেছিলেন আরবিএস অ্যাগ্রো ফার্মের কর্ণধার রবিউল হক চৌধুরী। পরদিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত আবুল কালাম আজাদের ফোন পান তিনি। জানান, গরুটি পছন্দ হয়েছে। দরদাম মিলে গেলে কিনে নেবেন। যেমন কথা, তেমন কাজ।

২১ মে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে খামারে হাজির হন আবুল কালাম আজাদ। দরদাম করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন গরুটি। এ ঘটনার বিবরণ দিয়ে আরবিএস অ্যাগ্রো ফার্মের কর্ণধার রবিউল হক চৌধুরী বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার আমেজ শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি নিয়মিত কোরবানির পশুর ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করছেন। এতে দারুণ সাড়া মিলেছে। ৬০টির মধ্যে ৩৫টিই বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই অনলাইনে পছন্দ করে রাখছেন। পরে খামারে এসে যাচাই করে কিনে নিচ্ছেন।

রবিউল হক চৌধুরী একজন পেশাদার ক্রিকেট আম্পায়ার। ২০১৬ সালে দুবাইয়ে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই পেশা ছেড়ে ২০১৮ সালে গরুর খামার দেন। শুরুতে ১২টি গরু ছিল। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। এর মধ্যে করোনাকালে তিনি অনলাইনে ৫ কেজি করে মাংস বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। করোনার ঘরবন্দী সময়ে সাড়াও মেলে বেশ।

রবিউল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এ বছর চট্টগ্রামের লাল গরু (আরসিসি), শাহি ওয়াল, হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। তাঁর খামারে সবচেয়ে দামি গরু সাড়ে চার লাখ টাকা, আর সর্বনিম্ন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

অনলাইনে দেখে গবাদিপশু কেনাকাটা এখন বেশ জনপ্রিয়। অনেকে হাটের ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই খামার থেকে গরু কিনে রাখছেন। কেনা গরু খামারেই রাখা যায়। অবশ্য খামারে গরুর দামে ভারসাম্য থাকলেও গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশিমোহাম্মদ আলমগীর, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম

শুধু রবিউল হক চৌধুরী নন, চট্টগ্রাম ক্যাটেল ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের হিসাব বলছে, অন্তত ৪ হাজার খামারি ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিত কোরবানির পশুর ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন। কেউ কেউ দাম উল্লেখ করে লিখছেন, ‘আলোচনা সাপেক্ষে’। ক্রেতারা হাটের ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই পছন্দের গরু কিনছেন। এ বিক্রি চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।

আরও পড়ুনঅনলাইনে চলছে কোরবানির হাট০২ জুন ২০২৫

অনলাইনে সক্রিয় থাকার সুফল কেমন, তা বোঝা যাবে সিটি অ্যাগ্রোর কর্ণধার এনামুল হকের বর্ণনায়। এবার ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জাতের ১৩০টি গরু প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ১১০টি গরু বিক্রি হয়েছে। সব কটি গরুর ছবি, ভিডিও পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। এর মধ্যে ‘বাঁধা’ ক্রেতা যেমন গরু নিয়েছেন, ঠিক তেমন অনলাইনে দেখে গরু কিনেছেন অনেকে।

২০২০ সালে খামারে পশু লালন-পালন শুরু করেন এনামুল হক। ফেসবুকে ‘সিটি অ্যাগ্রো’ নামে পেজ খুলে প্রচারণা শুরু করেন। করোনাকালে মূলত ব্যবসা ও পরিচিতি পান। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিক্রি বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে খামারের আকার। এনামুল হক জানান, এবার সবচেয়ে বড় গরু বাহাদুরের দাম উঠেছিল সাত লাখ টাকা। অনলাইনে দেখে এক ক্রেতা সম্প্রতি এটি কিনে নেন। এ ছাড়া ১০টির মতো গরু বিক্রি করেছেন সরাসরি ওজন (লাইভ ওয়েট) পদ্ধতিতে। প্রতি কেজি মাংসের দাম পড়েছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা।

চট্টগ্রামের একটি খামারে বিক্রির জন্য রাখা পশু। গতকাল বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে বৃক্ষ রোপণ
  • চট্টগ্রামে অনলাইন পশুর হাটে ৪ হাজার খামারি
  • শেষ কর্মদিবসেও সচিবালয়ে কর্মচাঞ্চল্য 
  • সোহেল আলমের ‘বড্ড ভালোবাসি’,মডেল হয়েছেন শ্যামল-চমক
  • ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • ঈদের ছুটিতে সিএনজি-ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে
  • ঈদের দিন কম খরচে অন্দর সাজাতে চান?
  • ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ দিন মহাসড়কে ট্রাক–কাভার্ড ভ্যান–লরি চলাচল বন্ধ থাকবে
  • বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ শুরু