নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে আরো এক বছর টেস্ট ক্রিকেটে খেলবে বাংলাদেশ। আইসিসি টেস্ট চ‌্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশের মিশন শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে। গল ও কলম্বোতে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট খেলবে।

এই সিরিজ দিয়েই অধিনায়ক শান্তর নতুন মিশন শুরু হতে যাচ্ছে। শুধু শান্তই নন, তার ডেপুটি মেহেদী হাসান মিরাজের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে এখনও রয়েছেন শান্ত। নিজ থেকে ছেড়েছেন টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব। তবে রান খরায় থাকায় তার জায়গা নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন উঠছে। টেস্ট দলে বেশ অভিজ্ঞ হয়েছেন বাঁহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। রানও করছেন টুকটাক। দলকে যুৎসই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কোন ভাবনায় শান্তকে সাদা পোশাকে আরো এক বছরের দায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবির সহ সভাপতি ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম‌্যান নাজমুল আবেদীনের কাছে।

আরো পড়ুন:

মানহীন পারফরম্যান্সে ক্রিকেট বাজারে অস্থিরতা

নাহিদকে নিয়ে উইলিয়ামসের মন্তব্যে শান্তর ‘খোঁচা’

রাইজিংবিডিকে তিনি বললেন, ‘‘আমরা চেয়েছি একজন নিয়মিত অধিনায়ক টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের দলকে পরিচালনা করুক। শান্ত দলকে ভালোভাবেই নেতৃত্ব দিচ্ছে। নতুন কাউকে হুটহাট তৈরি করা যাবে না। আমাদের বিশ্বাস আছে তার ওপর। এটা আমরা বিশ্বাস করি, একজন অধিনায়ককে নিজের কারিশমা দেখানোর জন‌্য লম্বা সময় দেওয়ার প্রয়োজন। শান্তকে আমরা ওই স্পেসটা দিতে চাচ্ছি। এতোটুকুই। ’’

তবে পরিসংখ‌্যান তার হয়ে কথা বলছে না। ১২ টেস্টে শান্ত দলকে এখন পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৪ জয়ের বিপরীতে ৮টিই ম‌্যাচ হেরেছে। চার জয়ের ভেতরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক দুটি টেস্ট জয় রয়েছে। এছাড়া ঘরের মাঠে নিউ জিল‌্যান্ড এবং জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে শান্তর দল।

তার ব‌্যক্তিগত পারফরম‌্যান্সও আশাব‌্যাঞ্জক নয়। ৩৫ টেস্টে ২৯.

০৬ গড়ে ৫ সেঞ্চুরিতে ১৮৮৯ রান করা শান্ত অধিনায়ক হিসেবে ১২ টেস্টে ২৭.৫৪ গড়ে ৬০৬ রান করেছেন। সেঞ্চুরি মাত্র ১টি। শান্তকে বড় দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে তার সামর্থ‌্যকে গুরুত্ব দিয়েছে বিসিবি। তার ব‌্যক্তিগত পারফরম‌্যান্স নিয়ে তেমন চুলছেড়া বিশ্লেষণ হয়নি।

নাজমুল আবেদীন বললেন, ‘‘অধিনায়ককে অবশ‌্যই পারফর্ম করতে হয়। পারফর্ম করলে দলকে পরিচালনার কাজটা সহজ। আমরা শান্তর ওপর যে বিশ্বাসটা রেখেছি, টেস্ট দিলের দায়িত্ব আরো এক বছর বাড়িয়েছি আশা করছি সেটার ফল বাংলাদেশ ক্রিকেট পাবে। নিজেকে কিভাবে শান্ত তৈরি করবে, এই এক বছরে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট বিয়ে ভাববে সেটা অবশ‌্যই মূল‌্যায়ন হবে।’’

 

ঢাকা/ইয়াসিন  

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক বছর শ ন তর

এছাড়াও পড়ুন:

তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। শনিবার (১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, বুধবারের নির্বাচনে তিনি ৯৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। খবর বিবিসির। 

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে স্বচ্ছতার অভাব এবং ব্যাপক অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে গত কয়েক দিনে সহিংসতায় কয়েক শ’ মানুষ নিহত ও বহু আহত হয়েছে। দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নিহতের সঠিক সংখ্যা যাচাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্থিরতা দমনে দেশজুড়ে কারফিউও বাড়ানো হয়েছে।

ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোটের আগে ভিন্নমত পোষণকারী ও বিরোধীদের ওপর কঠোর দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রধান দুই বিরোধী দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

ফলে নির্বাচনের পরই বৃহত্তম নগরী দার-এস-সালাম ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবারও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। অস্থিরতা বন্ধ করার জন্য সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সামিয়ার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন এবং থানায় আগুন দেয়। 

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশিরভাগ তরুণ বিক্ষোভকারীরা, যারা নির্বাচনকে অন্যায্য বলে সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার প্রধান বিরোধী নেতাদের দমন করে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে। প্রধান দুই বিরোধী নেতার মধ্যে একজন কারাগারে রয়েছেন এবং অন্যজনকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী চাদেমা দলের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তানজানিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০০ জন মারা যাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত এই সহিংসতাকে ‘এখানে-সেখানে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুত ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করেছে।”

প্রধান দুই বিরোধী দলীয় নেতার মধ্যে চাদেমা দলের টুন্ডু লিসুকে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগ আটক করা হয়, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এসিটি-ওয়াজালেনডো দলের নেতা লুহাগা এমপিনাকে আইনি কৌশল খাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

১৬টি প্রান্তিক দল, যাদের কারোরই ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন ছিল না, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম, দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে কখনও কোনো নির্বাচনে সিসিএম হারেনি।

নির্বাচনের আগে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরোধী ব্যক্তিত্বদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের নিন্দা জানিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর ২০২১ সালে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামিয়া ক্ষমতায় আসেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • অ্যালবামের গল্প বলবে ‘পেনোয়া’
  • খেলার নামে আদম পাচার ঠেকাতে তৎপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
  • বোলাররা ভাসান, ব্যাটসম্যানেরা ডোবান—আজ কী করবে বাংলাদেশ