গরু নিয়ে হাটে হাটে ঘুরছেন বিক্রেতারা, ক্রেতা কম
Published: 5th, June 2025 GMT
আর এক দিন পর কোরবানির ঈদ হলেও রংপুরের হাটগুলোতে গরু বিক্রি কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, ঢাকা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ থেকে গরু কিনতে ব্যবসায়ীরাও কম এসেছেন। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে স্থানীয় মানুষদেরও অনেকে কোরবানি দিতে পারছেন না। আজ দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার বুড়ির হাট, পীরগাছার বড়দরগাহ হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, রংপুর কৃষিপ্রধান অঞ্চল। আলুসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম কম থাকায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের অনেকে ঘরে এবার কোরবানি হচ্ছে না। ‘ভাগে’ যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁদের চাহিদাও ছোট বা মাঝারি গরু। বড় গরুর ক্রেতা একেবারে কম।
আজ বেলা ১টার দিকে বুড়িরহাটে গিয়ে দেখা যায়, হাট ছাড়িয়ে গরু আশআশের রাস্তায় রাখা হয়েছে। বাড়িতে গরু পালনকারীরা গরু নিয়ে আসছেন। দূরদূরান্ত থেকেও গরু নিয়ে এসেছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতা কম। হাটে কথা হয় রংপুরের গঙ্গাচড়ার মন্থনার মনিরামপুরের বাসিন্দা বিপ্লব ইসলামের (২২) সঙ্গে। তাঁর বাড়িতে ৫টি গরুর মধ্যে ২টি বুড়িরহাটে নিয়ে এসেছেন। বিপ্লব বলেন, ‘গরুর বাজার ঠান্ডা। হাটে হাটে ঘুরছি। গরুর দাম কম কওছে। এক ষাঁড় বড় করতে এক বছর নাগে। ভুসি, খইল, ঘাস—এমনকি লতাপাতাও টাকা ছাড়া পাওয়া যায় না। দাম কম হলে গরু পুষি কী হবে।’
হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে মনের আনন্দে ফিরছেন কয়েকজন। আজ রংপুর নগরের বুড়িরহাট সড়কে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।
বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।
বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট
সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন
বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।
এজন্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।
আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’
এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।
তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।
মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।
ঢাকা/ইয়াসিন