ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা-বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ভাটই বাজারের আশাননগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শৈলকুপা উপজেলার মাইলমারী গ্রামের মৃত বাবর আলী মন্ডলের ছেলে মোস্তফা হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও ছেলে মাহিন হোসেন (৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে যাচ্ছিলেন মোস্তফা হোসেন। পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের আশাননগর নামক স্থানে পৌঁছালে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন মারা যায়। স্থানীয়রা আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরও মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

টঙ্গীর ফ্লাইওভারে ২ বাসের সংঘর্ষ আহত ২৫ 

নিহতদের স্বজন তোজাম্মেল হক তোজাম বলেন, ‘‘ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে যাচ্ছিলেন গোলাম মোস্তফা। কিন্তু, পথে দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল।’’

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘‘ট্রাকচাপায় নিহত তিন জনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ঘাতক ট্রাকটি আটকের চেষ্টা চলছে।’’

আরো পড়ুন: ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ