আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজিরা
Published: 5th, June 2025 GMT
আরাফাতের ময়দানে গভীর ইবাদত ও বন্দেগিতে মশগুল আছেন বাংলাদেশি হাজিরা।
বুধবার (৫ জুন) রাত থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের হাজিদের সঙ্গে বাংলাদেশের হাজিরাও আরাফাতে আসতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালে অনেক বাংলাদেশি হাজি আরাফাতের ময়দানে পৌঁছেছেন।
এ বছর বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ হজযাত্রী হজ পালনে অংশ নিচ্ছেন, যাদের প্রত্যেককেই নির্ধারিত সময়ে আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে হবে।
আরো পড়ুন:
লাখো হজযাত্রীর অংশগ্রহণে হজের আনুষ্ঠানিকতা চলছে
আজ পবিত্র হজ, ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর আরাফাতের ময়দান
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, ৯ জিলহজ তারিখে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কিছু সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজযাত্রীদের জন্য ফরজ। এ সময় আরাফাতে না থাকলে হজ সম্পূর্ণ হয় না।
বাংলাদেশি হাজিদের সঙ্গে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড.
আরাফাতের ময়দানে হাজিরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন এবং হৃদয়ের গভীর আকুতি ও মিনতি মহান প্রভুর দরবারে নিবেদন করেন।এই অবস্থান অত্যন্ত বরকতপূর্ণ ও ফজিলতসম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত।
সূর্যাস্তের পর হাজিরা আরাফাত থেকে সরাসরি মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই পৌঁছে এক আজান ও দুই ইকামতের মাধ্যমে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবেন। মুজদালিফায় অবস্থান করা হাজিদের জন্য ওয়াজিব।
সৌদির আবহাওয়া দপ্তর ধূলিঝড়ের পূর্বাভাস দিলেও আরাফাতে এমন কিছু দেখা যায়নি। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি হাজিরা সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে হজের সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করে যাচ্ছেন।
ঢাকা/আসাদ/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?