রাত পোহালেই চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ
Published: 6th, June 2025 GMT
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে শুক্রবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
বৃহস্পতিবার রাতে দরবার শরিফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টয় সাজ্জাদ দরবার শরীফ ঈদগা ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকি। এ উপলক্ষে কোরবানির পশু ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ঈদের প্রথম জামায়াত দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই জামায়াতে ইমামতি করবেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।
এরপর দ্বিতীয় জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।
এছাড়া হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলায় সকাল সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফ চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.
এছাড়া তার অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।
যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল আজহা উদযাপন হবে সেগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র জ ম ত আর ফ চ ধ র ঈদ ল আজহ উপজ ল র উদয প
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে ২৫ গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন মাদারীপুরের ২৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ। জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার তাল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত পড়ান তাল্লুক গ্রামের মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।
জানা যায়, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ’ বছর আগ থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি, বাহেরচর, কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার ২৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উৎসব পালন করছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ মো. ইকবাল সরদার বলেন, প্রায় দেড়শ’ বছর ধরে সৌদি আবরসহ মধ্যপ্রাচের সঙ্গে মিল রেখে বছরে রোজা ও ঈদ উদযাপন করা হয়। বছরে দুটি ঈদ উৎসব এভাবেই পালন করে আসছেন এখানকার মুসল্লিরা।