সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ জেলার ছয়টি উপজেলার ২০টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টার, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বিরল ও বিরামপুর উপজেলায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  

আজ সকাল ৮টায় দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর শহর ও শহরতলীর কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামাতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ৩০০ মুসল্লি অংশ নেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মো.

আব্দুর রাজ্জাক। 

আরো পড়ুন:

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

পটুয়াখালীর ২২ গ্রামে ঈদ উদযাপন

এছাড়া, চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রাম, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রাম, ১৩ মাইল, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁ জামে মসজিদ, বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া দাখিল মাদরাসা ও খয়ের বাড়ি দাখিল মাদরাসা মাঠে ঈদ জামাত হয়।

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার ২০টি গ্রামে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। 

ঈদের জামাতে অংশ নেওয়া মো. মতিউর বলেন, “আমি প্রথমে আগাম ঈদ নামাজ পড়ার বিরোধিতা করেছি। কোরআন ও হাদিস পড়ে যখন জানতে পারলাম, যে এটিই সঠিক তখন থেকে আমি এই নিয়মে শরিক হয়েছি।” 

মো. তমিজ উদ্দীন নামে অপর একজন বলেন, “আমি দশ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করছি।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব ঈদ ল আজহ অন ষ ঠ ত উপজ ল র র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে অঝোরে বৃষ্টি, রাস্তায় পানি, আশঙ্কা পাহাড়ধসের

চট্টগ্রাম নগরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।

টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম মোড়গুলোয় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষজন। এ ছাড়া সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে যেসব অভিভাবক বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় পর যানবাহন পেলেও অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছোটেন।

আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। এ কে খান সি–গেট এলাকা, চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ