সুনামগঞ্জে সুরমা নদীসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমছে। কম বৃষ্টি এবং উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের চাপ কমায় নদীর পানি কমছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে আকাশে রোদ আছে। এতে লোকজন ঈদের কেনাকাটায় স্বস্তিবোধ করছেন। পশুর হাটগুলোতেও ভোগান্তি কমেছে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঙ্গরকাটা এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক সবুজ আলম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি কম হয়েছে। আজ সকাল থেকে রোদ উঠেছে। এখন ঈদের দিনটায় আবহাওয়া ভালো থাকলেই খুশি। গত বছর ঈদুল আজহায় সুনামগঞ্জে বন্যা ছিল। বন্যা, বৃষ্টিতে মানুষ কী যে দুর্ভোগে পড়েন, সেটি বলে বোঝানো যাবে না।

সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় (যে স্থানে নদীর পানির উচ্চতা মাপা হয়) আজ সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ২১ মিটার। একই স্থানে গতকাল সকাল নয়টায় পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৩২ মিটারে। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ১১ সেন্টিমিটার। বর্ষা মৌসুমে এখানে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার।

আরও পড়ুনসুনামগঞ্জে আবারও ভারী বৃষ্টি, সুরমায় পানি বেড়েছে ৩৪ সেন্টিমিটার০৫ জুন ২০২৫সুনামগঞ্জে গত ২০ মে থেকে বৃষ্টি হয়। শুরুতে হালকা ও মাঝারি হলেও পরে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। একই সঙ্গে সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি হয়। যে কারণে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। পানি বাড়তে থাকে নদী ও হাওরে।

সুনামগঞ্জে বুধবার সকাল নয়টা থেকে গতকাল সকাল নয়টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৬ মিলিমিটার। গত ১৫ দিনে এটিই সর্বনিম্ন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয় ৮৮ মিলিমিটার। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত দুই দিন বৃষ্টি কম হয়েছে।
পাউবো কর্মকর্তারা বলছেন, সুনামগঞ্জে এবং উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে একই সময়ে, একই সঙ্গে বৃষ্টি কম হওয়া স্বস্তির। এতে পাহাড়ি ঢলের চাপ কম থাকে। সুনামগঞ্জে নদী ও হাওরে পানি স্থিতিশীল থাকে। এভাবে রোদ থাকলে পানি কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে আবার ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়ে।

সুনামগঞ্জে গত ২০ মে থেকে বৃষ্টি হয়। শুরুতে হালকা ও মাঝারি হলেও পরে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। একই সঙ্গে সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি হয়। যে কারণে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। পানি বাড়তে থাকে নদী ও হাওরে।

পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী তিন দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে সেটা হালকা ও মাঝারি। এতে খুব একটা পানি বাড়বে না। মূলত ভারী বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢল নামলেই পানি বাড়ে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও এসংক্রান্ত যোগাযোগের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে ১ হাজার ৬২৯ মেট্রিক টন জিআর চাল, শুকনা খাবারের জন্য ৩৬ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ১৫ লাখ, গোখাদ্যের জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট আছে ১১ লাখ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে চিকিৎসক দল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ নদ র প ন একই স

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ