শনিবার (৭ জুন) দেশব্যাপী উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বিকল্প হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদ জামাত আয়োজনে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভিআইপিদের জন্য নির্ধারিত ব্লকে ২৫০ জন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।মুসল্লিদের জন্য থাকবে অজুর ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা। নারী মুসল্লিদের জন্য রয়েছে আলাদা নামাজের স্থান ও প্রবেশপথ।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন থাকবে পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুরো ঈদগাহ এবং আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।এছাড়া স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে একটি অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নজরদারি করা হবে।

আরো পড়ুন:

বায়তুল মোকাররমে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত

রাজধানীর মসজিদে মসজিদে তারাবির জামাতে মুসল্লিদের ঢল

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও সুশৃঙ্খলভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মুসল্লিদের জায়নামাজ আনতে হবে। সেই সঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানান, যেন আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়-বৃষ্টিপাত যেন না হয়।”

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীও জামাতস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “জাতীয় ঈদগাহসহ ঢাকার সব ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি সমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বিকল্প স্থান হিসেবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘাটতি থাকবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ ব যবস থ ক ররম মসজ দ ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ