জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া করেছেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক। শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের নামাজ ও খুতবাহর পর মুনাজাতে তিনি মুসল্লিদের নিয়ে সম্মিলিত দোয়া করেন।

নামাজের আগে হজ ও কোরবানি নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন তিনি।

মুফতি আব্দুল মালেক বলেন, হজ ও কোরবানির সবচেয়ে বড় শিক্ষা তাওহিদ। সবাইকে এ বিষয়টি মেনে চলতে হবে। তিনি কোরআনের আয়াত উদ্বৃত করে বলেন, মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। আল্লাহর কোনও শরিক নেই। হজ ও কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ। আর ইখলাস ও তাক্বওয়া হতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।

তিনি ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য দোয়া করেন। তাদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম শাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতাও একটি ইবাদত। তাই পশু কোরবানি করতে গিয়ে যেন রাস্তাঘাট অপরিচ্ছন্ন করা না হয়, সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রধান জামাতে অংশ নেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ কূটনীতিক, বিচারপতি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ ল আজহ ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ