Samakal:
2025-06-08@14:36:32 GMT

চামড়ার দাম কাগজে, মাঠে ধস

Published: 8th, June 2025 GMT

চামড়ার দাম কাগজে, মাঠে ধস

কোরবানির ঈদের পরই চাঙা হওয়ার কথা দেশের কাঁচা চামড়ার বাজার। বছরে ব্যবহৃত ৮০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ হয় এই মৌসুমে, যা চামড়া শিল্পের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তবে সেই ‘স্বর্ণসময়’ এবার রঙ হারিয়েছে। সরকার বর্গফুট প্রতি দাম নির্ধারণ করলেও উত্তরাঞ্চলের বাজারে তার প্রতিফলন নেই। চাহিদা নেই, নেই ন্যায্য মূল্যও। খুচরা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৌসুমি সংগ্রাহক সবাই লোকসানে বিক্রি করছেন চামড়া। কেউ কেউ বলছেন, প্রতি বছরই একই দৃশ্য দেখা যায় কাগজে থাকে দাম, কিন্তু মাঠে নামে ধস। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের সেই ব্যবসায়ীরা, যারা প্রান্তিক পর্যায় থেকে চামড়া সংগ্রহ করে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন। তারা দামের স্বপ্ন দেখেই লোকসানে হেঁটে যাচ্ছেন।

এবারও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গরুর কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকায় প্রতি বর্গফুট ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ছাগলের চামড়ার দাম ছিল ২০-২৫ টাকা।
কিন্তু উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁসহ অন্তত ১২টি জেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চামড়ার দাম কোথাওই সরকারি রেট ছুঁতে পারেনি। বরং অনেক জায়গায় চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৪৫-৫০ টাকায়।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চামড়া ব্যবসায়ী জহুরুল হক বলেন, গতবারও লোকসান গুনেছি, এবার ভেবেছিলাম দাম উঠবে। কিন্তু এবারও গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি, যেখানে সরকারের হিসাব অনুযায়ী এটা হওয়া উচিত ছিল অন্তত ১২০০ টাকা।

দিনাজপুর সদর উপজেলার চামড়া সংগ্রাহক রহিম উদ্দিন বলেন, তিনটা গরুর চামড়া তুলেছিলাম, সবগুলো মিলে বিক্রি করেছি মাত্র দুই হাজার একশ’ টাকায়। লবণ, ভ্যান, লেবারের খরচ দিয়ে এখনও হিসাব মিলাতে পারিনি। প্রতি বছরই এমনটা হয়। কিন্তু কেউ আসে না দেখতে আমরা কেন লোকসান করছি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বলেন, এই এলাকায় কোনো ট্যানারি মালিক আসে না সরাসরি। যাদের কাছে বিক্রি করতে হয়, তারা নিজেদের মতো করে দর বলে। এবার ৬৫০ টাকার বেশি কেউ দেয়নি, অথচ সরকার বলছে, দাম নাকি ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এই দামের চিহ্নও আমরা দেখিনি।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার হাটে চামড়া বিক্রি করতে আসা কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, গরুর চামড়া দিয়েছি ৭০০ টাকায়। অথচ কোরবানির আগে শুনেছি দাম বেড়েছে। প্রশ্ন হলো, কার জন্য বেড়েছে? যারা শহরে বড় বড় গোডাউনে বসে? 

নওগাঁর পত্নীতলার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, ঈদের দিন ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘুরেছি শুধু চামড়া সংগ্রহ করতে। সবমিলিয়ে ১৮টা গরুর চামড়া তুলেছি। কিন্তু দাম উঠেছে এত কম যে একরকম ভেঙেই পড়েছি। মনে হচ্ছে এই ব্যবসা আর করবো না।

রংপুরের বদরগঞ্জের এক সাধারণ কোরবানিদাতা জাকির হোসেন বলেন, ছাগলের চামড়া নিতে কেউ রাজি হয়নি। মসজিদে দিলেও বলেছে- রাখার জায়গা নেই। শেষ পর্যন্ত পাশের ডোবাতে ফেলে দিয়েছি। কষ্ট লাগে, কিন্তু কিছু করারও নেই।

ঈদের মৌসুমে চামড়া সংগ্রহে নামেন কয়েক হাজার মৌসুমি ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায়ীরাই মূলত গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করেন। কিন্তু পরিবহন, লবণ, লেবার ও সংরক্ষণ ব্যয় শেষে অনেকেরই ঘরে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে।

একসময় ছাগলের চামড়াও যুক্ত হতো চামড়া শিল্পে। এখন সেই চামড়া কেউ নিতে চায় না। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ছাগলের চামড়া রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।

রংপুরের মিঠাপুকুরে স্থানীয় মসজিদের খাদেম মোজাম্মেল হক বলেন, লোকে ছাগলের চামড়া মসজিদে দিতে আসছে, কিন্তু কেউ নিতে চায় না। দুই-তিন জায়গায় ফোন দিয়েও কেউ নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, ছাগলের চামড়ার প্রক্রিয়াজাতকরণে খরচ বেশি, অথচ চূড়ান্ত উৎপাদনে মূল্য কম। ফলে চাহিদা কমে যাওয়ায় এই চামড়া এখন প্রাসঙ্গিকতাই হারাচ্ছে।

বাংলাদেশে চামড়া শিল্পে বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের সম্ভাব্য রপ্তানি আয় হওয়ার কথা। কিন্তু দুর্বল ব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও দূরদর্শিতার অভাবে এই শিল্প নিয়মিত ক্ষতির খাতায় নাম লেখাচ্ছে। 

সাভার ও হেমায়েতপুরের ট্যানারি মালিকদের প্রতিনিধি আজিজুল হক অভিযোগ করে বলেন, জেলায় জেলায় চামড়া ঠিকমতো সংরক্ষণ হয় না। লবণের পরিমাণ কম থাকে, অনেক সময় পচে যায়। তাই দাম কম দিতে হয়।

তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ট্যানারি মালিকরাই বাজারে একচেটিয়া দখল করে রেখেছে। তারা সিন্ডিকেট করে দরপতন ঘটায়। প্রতিবারই ঈদের পর তারা অজুহাত দেয় চামড়া ভালো না, সংরক্ষণ ঠিক হয়নি। অথচ তারাই আগে কোনো দিকনির্দেশনা দেন না।

বগুড়া, জয়পুরহাট ও গাইবান্ধার কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ঈদের সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদারকি দেখা যায়নি। কোথাও কোথাও দাম লিখে রাখার জন্য কাগজ দেওয়া হলেও কেউ তা মানেনি। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে ‘ব্যবসায়িক বিষয়’ বলে এড়িয়ে গেছে।

অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.

সেলিম রায়হান এক গবেষণায় উল্লেখ করেছেন, চামড়া বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা বারবার লোকসানে পড়ছেন। তার মতে, মধ্যস্বত্বভোগীদের আধিপত্য, পরিবহন ও সংরক্ষণ সংকট এবং বাজারে স্বচ্ছতার অভাবে মৌসুমি এই বাজার প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই, কেবল দাম ঘোষণা করলেই চলবে না, মাঠ পর্যায়ে কার্যকর নজরদারি ও সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।

বগুড়া চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতা নাজির হোসেন বলেন, বছরের পর বছর আমরা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের বাস্তবায়ন দেখি না। ট্যানারি মালিকরা মাঠ পর্যায়ের চামড়া কিনতে আগ্রহী নন, বরং বিভিন্ন দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কম দামে সংগ্রহ করেন। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। তারা চামড়া কিনে সঠিক দামে বিক্রি করতে পারে না, অথচ সরকারের কাছে তাদের কথা পৌঁছায় না। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরে অনেকেই এই ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে।

সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) বগুড়া জেলা সম্পাদক কেজিএম ফারুক বলেন, একসময় দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত ছিল চামড়া শিল্প। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সেই শিল্পকেই গলা টিপে ধরা হচ্ছে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, সিন্ডিকেট, নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা বছরের একমাত্র উৎসবকালেই যখন ক্ষতির মুখোমুখি হন, তখন প্রশ্ন ওঠে এই শিল্প আসলে কার স্বার্থে চলছে?
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ঠ পর য য় ব যবস য় র ই ব যবস ক বল ন ন বল ন ক রব ন র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সিঙ্গাপুর ম্যাচে প্রথাগত স্ট্রাইকার চান এমিলি

আগামী মঙ্গলবার উৎসবের মঞ্চ হয়ে ওঠার অপেক্ষায় ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম। যেখানে এশিয়ান কাপ ২০২৭-এর বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর।

চার দলের গ্রুপ থেকে একটি দলই জায়গা করে নেবে মূল পর্বে। তাই প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা, উদ্দীপনা ও প্রত্যাশার আবহ। যেমনটা বহুদিন দেখা যায়নি বাংলাদেশের ফুটবলে।

বাংলাদেশের ফুটবলে এখন এক নতুন আবহ। ছয়জন প্রবাসী ফুটবলার যোগ দিয়েছেন দলে। হামজা, শমিত যেমন একেবারে আন্তর্জাতিক মানের, তেমনি ফাহামিদুল প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর সামর্থ্য।

তাঁদের আগমনে যেমন বদলে গেছে দল, তেমনি বদলেছে ফুটবল নিয়ে মানুষের ধারণাও। একসময় যে দলের খেলা নিয়ে মানুষ শুধু হতাশ হতো, এখন সেই দলের ম্যাচের টিকিট মিলছে না। জাতীয় দলের ম্যাচ ঘিরে এমন উত্তাপ সাম্প্রতিক সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি।

তবে মাঠের পারফরম্যান্সই শেষ কথা। জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি তাই বাস্তবতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি, ‘মাঠের বাইরে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাতে মাঠে ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই এখন। মাঠেই নিজেদের প্রমাণ করে জয় পেতে হবে।’

ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে ছিলেন পাঁচজন প্রবাসী ফুটবলার। সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য দলে যোগ দিয়েছেন শমিত সোম। মাঝমাঠে কাকে রেখে কাকে বসানো হবে, সেটা এখন কোচের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত। সমাধান কী হতে পারে?

এমিলি বলছেন, ‘এই ম্যাচে জামাল ভূঁইয়া একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারে, তার জায়গায় একাদশে দেখা যেতে পারে শমিতকে। আর রাকিবকে পেছনে এনে আল-আমিনকে সামনে আনা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারে কাজেম শাহ।’

আরও পড়ুনসিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রথম খেলার স্মৃতি৬ ঘণ্টা আগে

ভুটান ম্যাচে রাকিব স্ট্রাইকার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এমিলির মতে, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একজন প্রথাগত নাম্বার নাইন দরকার। তবে কোচ হয়তো সুমন রেজা বা আল-আমিনের ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না বলে রাকিবকে সামনে রাখা হয়েছিল ভুটান ম্যাচে।

কিন্তু রাকিব উইং দিয়েই খেলেছেন বেশি। এমিলি বলেন, ‘জানি না কোচ কী ভাবছেন। নিশ্চয়ই তাঁর একটা পরিকল্পনা আছে। তবে আমি মনে করি, সিঙ্গাপুর ম্যাচে একাদশে প্রথাগত একজন স্ট্রাইকার বা নাম্বার নাইন রাখা উচিত। সে ক্ষেত্রে আল আমিন বিবেচনায় আসতে পারে অথবা সুমন রেজাকেও ভাবতে পারেন কোচ।’

তবে শুধু আক্রমণ নয়, রক্ষণভাগ নিয়েও এমিলির পর্যবেক্ষণ আছে। তাঁর কথা, ‘মালদ্বীপের বিপক্ষে ৫ জুন প্রীতি ম্যাচে ক্রস থেকে গোল করেছে সিঙ্গাপুর। আমাদের রক্ষণভাগ বাতাসে বল ক্লিয়ার করতে খুব ভালো না। তপু ভালো সেন্টারব্যাক হলেও মাঝেমধ্যে ভুল করে বসে। সিঙ্গাপুর দলে ফান্দির মতো লম্বা ফরোয়ার্ড আছে, যে মালদ্বীপ ম্যাচে জোড়া গোল করেছে। আমাদের জন্য এটা বড় সতর্কবার্তা।’

আরও পড়ুনসিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ই হবে কাবরেরার ঈদ উপহার০৬ জুন ২০২৫

ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাঝমাঠ জমাট থাকায় রক্ষণভাগে চাপ পড়েনি তেমন। কিন্তু সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তা হবে না। তাই রক্ষণ আরও জমাট করতে হবে, মাঝমাঠকে হতে হবে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায়, এমনটাই মনে করছেন এমিলি।

বাংলাদেশের আরেক কিংবদন্তি শেখ মোহাম্মদ আসলাম মনে করেন, সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রবাসীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বোঝাপড়া কতটা হয়েছে, সেটা বড় ব্যাপার।

আসলাম এ দিকটার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলছিলেন, ‘আশা করি প্রবাসীদের সঙ্গে স্থানীয়দের ভালো বোঝাপড়া হবে সিঙ্গাপুর ম্যাচে। প্রবাসীদের কারণে দল শক্তিশালী হয়েছে, ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষেই যাবে আমার বিশ্বাস।’

মঙ্গলবারের ম্যাচ শুধু পয়েন্টের লড়াই নয়, দেশের ফুটবলের প্রতি আস্থা ফেরানোরও লড়াই। মাঠের ফুটবল যদি আশার সঙ্গে সুর মেলাতে পারে, তাহলে হয়তো বলা যাবে বাংলাদেশের ফুটবলের নবজাগরণের শুরু সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়েই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ