মালয়েশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের সঙ্গে একটি মিনিভ্যানের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩১ জন। স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর: স্ট্রেইটস টাইমস
এ দিকে দুর্ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গেরিক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশনের চার সদস্যের একটি দল।
পেরাক রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনা ঘটনাস্থলেই ১৩ জন মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।
তারা আরও জানায়, দুর্ঘটনার পর কিছু যাত্রী নিজেরাই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কেউ কেউ বাস থেকে ছিটকে পড়েন ও অনেকেই ভেতরে আটকে পড়েন।
পেরাক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের সহকারী অপারেশন ডিরেক্টর সাবরোদজি নর আহমেদ জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মিনিভ্যানে ৪৮ জন ছিলেন, যার মধ্যে ৪২ জন শিক্ষার্থী, চারজন এমপিভির যাত্রী, একজন বাসচালক এবং একজন সহকারী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ