দেশের স্টার্টআপ খাতে গত এক যুগে বিনিয়োগের পরিমাণ এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যদিও খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার বিবেচনায় এটা বেশ কম। এ খাতে সাফল্যের গল্প কম এবং বৈশ্বিক মান ও প্রচারে স্টার্টআপ খাত পিছিয়ে আছে। এ জন্য এ খাতের যতটা এগোনোর কথা, সেটা হয়নি। তবে সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। স্টার্টআপ খাতের অগ্রগতির জন্য নতুন বাজার তৈরিতে দরকার বাজারবান্ধব নীতি।

খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্টার্টআপ হলো উদ্ভাবনী ও সম্ভাবনাময় উদ্যোগ। সাধারণত প্রযুক্তিভিত্তিক হয়ে থাকে। বিদ্যমান সমস্যার নতুন সমাধান দেয়। এক যুগ আগে থেকে দেশে স্টার্টআপের ধারণা পরিচিত পেতে শুরু করে। ২০১৮ সাল থেকে বিনিয়োগের আকারও বাড়তে থাকে। দেশের কিছু স্টার্টআপ এ সময় বেশ পরিচিতি পায়। বিশেষত করোনা মহামারির সময়ে। এসব স্টার্টআপ মানুষের নগরকেন্দ্রিক জীবনযাত্রার অংশীদার হয়ে ওঠে।

করোনা মহামারি সময়ে দেশের স্টার্টআপে বেশ ভালো বিনিয়োগ আসে। জাপানের সফটব্যাংক ২০২১ সালে ‘বিকাশ’ এ ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে। দেশের স্টার্টআপে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। বাংলাদেশের একমাত্র ইউনিকর্নও (যে স্টার্টআপের বাজারমূল্য ১০০ কোটি ডলারের বেশি) ‘বিকাশ’।

দেশের বাজার বড় মনে করা হলেও সবাইকে গ্রাহক হিসেবে তৈরি করা যায়নি। এটা বড় দুর্বলতা। এখানে নলেজ গ্যাপ আছে। বৈশ্বিক মানদণ্ডেও সমস্যা আছে।মেহেদি স্মরণ, সহপ্রতিষ্ঠাতা, হ্যালো টাস্ক।

২০২২ সাল থেকে দেশের স্টার্টআপে বিনিয়োগ আবার কমতে থাকে। ২০১৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম ৪৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৪ কোটি ডলার বিনিয়োগ এসেছে ২০২৪ সালে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে স্টার্টআপ নীতিমালা হয়নি। যার কারণে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাতটি অনেকটাই এলোমেলো ও বিচ্ছিন্নভাবে চলছে।

বিদেশি বিনিয়োগ বেশি

দেশীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত দেশে স্টার্টআপে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ এসেছে। এতে মোট বিনিয়োগের সংখ্যা ৪৮০। এই খাতে বিনিয়োগের ৯২ শতাংশের বেশি এসেছে দেশের বাইরে থেকে। সবচেয়ে বেশি ৬২ শতাংশ বিনিয়োগ আর্থিক খাতের স্টার্টআপে। আর্থিক খাতের পর রয়েছে লজিস্টিক ও মোবিলিটি এবং ই–কমার্স খাত।

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ ৭৬ শতাংশ। প্রাথমিক পর্যায়ের বিনিয়োগ ৮৫ শতাংশ। বাংলাদেশে মাথাপিছু স্টার্টআপ বিনিয়োগ শূন্য দশমিক ২ ডলার। লাইটক্যাসেলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দিকে ক্রমেই এগোচ্ছে। সেটা বিবেচনায় নিলে, ওই সময় স্টার্টআপ খাতে মোট বিনিয়োগ আড়াই বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড (এসবিএল) এখন পর্যন্ত ৩৭টি স্টার্টআপে ৯৪ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ১ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল রয়েছে। যেখান থেকে এ বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো বিতরণ হয়েছে।

২০১৭ সালে দেশে যাত্রা শুরু করে স্টার্টআপ ‘হ্যালো টাস্ক’। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মেহেদি স্মরণ বলেন, ‘দেশের বাজার বড় মনে করা হলেও সবাইকে গ্রাহক হিসেবে তৈরি করা যায়নি। এটা বড় দুর্বলতা। এখানে নলেজ গ্যাপ আছে। বৈশ্বিক মানদণ্ডেও সমস্যা আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভালো দিক হচ্ছে, এখানে শ্রম বেশ সস্তা। এটা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বাজার ধরতে পারবে।’

আরও পড়ুনটিকে থাকার লড়াইয়ে স্টার্টআপ০১ এপ্রিল ২০২৪

চ্যালেঞ্জ অনেক

দেশের স্টার্টআপ খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে এবং এ–সংক্রান্ত করণীয় ঠিক করতে এসবিএল বিদেশি একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সম্প্রতি অংশীজনদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে স্টার্টআপে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের বিনিয়োগ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

রোডম্যাপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্টার্টআপের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগের আকার এবং ‘সিরিজ এ’ (ব্যবসা সম্প্রসারণ) পরবর্তী অর্থায়নে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। দেশে মাত্র ৫ শতাংশ ‘সিরিজ এ’ পরবর্তী অর্থায়ন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৮৩ শতাংশ ‘প্রি সিড’ অর্থায়ন।

বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও বলা হয়েছে। যেমন যেসব স্টার্টআপ প্রত্যাশিত অবস্থায় যেতে পারে না, তারা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তাদের কারিকুলাম বৈশ্বিক মানদণ্ডের নয়। বিনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত জোর দিলেও ব্যবসা রূপান্তরে তুলনামূলকভাবে গুরুত্ব কম দেওয়া হয়।

এ ছাড়া দেশের স্টার্টআপে অনভিজ্ঞ জনবল নিয়ে কাজ করা হয়। বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ প্রায় নেই বললেই চলে। বেশির ভাগ অনুদানভিত্তিক সহায়তা আসে। স্থিতিশীল কোনো রাজস্ব মডেল নেই।

আরও পড়ুন স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য ৮০০–৯০০ কোটি টাকার তহবিল আসছে০৭ এপ্রিল ২০২৫

চ্যালেঞ্জ হিসেবে আরও কিছু বিষয় উঠে এসেছে। কোনো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এখনো তাদের সম্পূর্ণ চক্র শেষ করেনি। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের লাইসেন্স নিতে চায়। কিন্তু বাজারে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করে না। কারণ, তারা মনে করে প্রতিভা ও সুযোগের অভাব রয়েছে।

বাংলাদেশে সফল স্টার্টআপের সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত কোনো স্টার্টআপ শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। প্রবৃদ্ধি পর্যায়ে থাকা স্টার্টআপের সংখ্যাও কম। এ খাতে অনুদানকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার না করে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গত এক যুগে এই ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ তেমন কিছু না। প্রতিবেশী দেশগুলোয় এর চেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে। বিকাশ ও শপআপের বড় দুটি বিনিয়োগ বাদ দিলে এটা আরও কম।শওকত হোসেন, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী।

আরও যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে—বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম সম্পর্কে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা কম। সরকারিভাবে কোনো একক কিংবা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা প্ল্যাটফর্ম নেই। ইকোসিস্টেম-সংক্রান্ত পরিসংখ্যানে আস্থা কম।

এ রোডম্যাপ নিয়ে খাত–সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে এবং অংশীজনদের মতামত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এসবিএলের কোম্পানি সচিব এ বি এম মনিরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে সবার মতামত নিয়ে সেটা সরকারের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া স্টার্টআপ নীতিমালা নিয়েও কাজ হচ্ছে।

আরও পড়ুন‘স্টার্টআপ নেশন’ হতে হলে আমাদের যা করতে হবে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দরকার বাজারবান্ধব নীতি

এসবিএলের উপস্থাপনায় দেশের স্টার্টআপ খাতের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ রয়েছে। বলা হয়েছে, একটি ফান্ড অব ফান্ডস (এফওএফ) প্রতিষ্ঠা করার কথা। এ জন্য পরবর্তী বাজেটে ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

এফওএফ হচ্ছে, সরাসরি কোনো স্টার্টআপে বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড কিংবা বিনিয়োগকারী তহবিলে অর্থ প্রদান করা। যাতে এ তহবিল থেকে পরে স্টার্টআপগুলোয় বিনিয়োগ করা যায়।

আরও যেসব পরামর্শ রয়েছে—স্টার্টআপকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করা, সরকারি অংশীজনদের যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এসবিএলকে ভূমিকা রাখতে দেওয়া, স্টার্টআপে বিনিয়োগে করছাড়, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা ফেরত পাঠানোর নীতি সহজ করাসহ সংশ্লিষ্ট বিধিতে সংশোধন আনা।

এ ছাড়া স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে এলপিদের (পরিচালনায় যুক্ত না হয়ে শুধুই বিনিয়োগকারী) মধ্যে সংযোগ তৈরি করা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে চ্যালেঞ্জ তহবিল তৈরি, দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বৈশ্বিক আয়োজনে অফলাইন উপস্থিতি বজায় রাখা, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য একটি যৌথ পোর্টালের মাধ্যমে শক্তিশালী ডিজিটাল পরিচিতি গড়ে তোলা এবং সহজে তথ্য পাওয়া ও দেওয়ার প্রবণতা তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে।

এসবিএলের উপস্থাপনায় আরও বরা হয়েছে, সরকারের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর এসবিএলের প্রভাব সীমিত। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার প্রয়োজন।

বিনিয়োগ আশাব্যঞ্জক নয়

দেশের স্টার্টআপে বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত এক যুগে এই এক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ তেমন কিছু না। প্রতিবেশী দেশগুলোয় এর চেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে। ‘বিকাশ’ ও ‘শপআপ’–এর বড় দুটি বিনিয়োগ বাদ দিলে এটা আরও কম।

বাংলাদেশের স্টার্টআপে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া ‘ধীরগতির ও জটিল’ উল্লেখ করে শওকত হোসেন বলেন, বিনিয়োগকারী যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে খাতটিকে বোঝার মানসিকতা গড়ে ওঠেনি। এখানকার নীতি জটিলতার কারণে বেশির ভাগ স্টার্টআপের নিবন্ধন থাকে সিঙ্গাপুর কিংবা দুবাইয়ে। এতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হয়ে যায়।

ভারতে সরকারিভাবে ‘স্টার্টআপ ফার্স্ট নীতি’ অনুসরণ করা হয় জানিয়ে শওকত হোসেন বলেন, এ চর্চা বাংলাদেশে দরকার। সঠিক বাজারবান্ধব নীতিও জরুরি। বৈশ্বিক বাজার ধরতে হবে এবং প্রচার লাগবে। ঢাকাকেন্দ্রিক না হয়ে বরং অন্যান্য শহরকেও বিবেচনায় নিতে হবে।

আরও পড়ুন১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল করার প্রস্তাব০২ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ব ক ম নদণ ড দ শ র স ট র টআপ স ট র টআপ খ ত ব ন য় গ এস ছ স ট র টআপ র শওকত হ স ন অ শ জনদ র এসব এল র এক য গ র জন য তহব ল উপস থ সবচ য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ন্যাশনাল গার্ড না দিলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন অনেকে। তবে নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি বেশ আস্থা রয়েছে ট্রাম্পের। তিনি বলেছেন, এমনটা না করা হলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।

লস অ্যাঞ্জেলেস ও এর আশপাশে এলাকায় এই বিক্ষোভ শুরু হয় গত শুক্রবার। গতকাল রোববার তা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। এদিন রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। সড়ক অবরোধসহ গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত কোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের অনুরোধ সাপেক্ষে সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট। তবে এবার ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসমের অনুরোধ ছাড়াই বাহিনীটি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর এমন পদক্ষেপের বিরোধিতাও করেছেন নিউসম। তবে তা কানে তোলেননি ট্রাম্প।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল গার্ড’ কী, কখন এই বাহিনী মোতায়েন করা হয়২ ঘণ্টা আগে

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়ায় সহিংস, উসকানিমূলক দাঙ্গা মোকাবিলার জন্য ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্তটি চমৎকার ছিল। আমরা যদি এমনটা না করতাম, তা হলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।’

আরও পড়ুনলস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে কেন বিপজ্জনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৫ ঘণ্টা আগে

গভর্নর গাভিন নিউসম ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাসের সমালোচনা করে ট্রাম্প লেখেন, ‘চরম অযোগ্য গভর্নর গাভিন নিউসম ও মেয়র কারেন বাসের বলা উচিত ছিল, “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আপনি খুবই অসাধারণ। আপনি ছাড়া আমরা কিছু করতে পারতাম না।” তবে তাঁরা আমেরিকা ক্যালিফোর্নিয়ার মানুষের সঙ্গে মিথ্যা বলাকে বেছে নিয়েছেন।”

আরও পড়ুনগুজব থেকেই কি লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ