শিক্ষাবিদ যতীন সরকার পড়ে গিয়ে আহত, হাসপাতালে ভর্তি
Published: 9th, June 2025 GMT
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার (৯০) পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। ঊরুর হাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি গত শনিবার রাত থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শারীরিক অবস্থা কিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর অস্ত্রোপচার হতে পারে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
যতীন সরকার বেশ কয়েক মাস ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। কয়েক মাস আগে বেশ কিছু কারণে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে নেত্রকোনায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
যতীন সরকারের স্ত্রী কানন সরকার প্রথম আলোকে জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শোবার কক্ষে সামনে বারান্দা থেকে পত্রিকা আনতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। এরপর রাইট ফিমার নেক ফ্যাকচার হয়। এরপর গত শনিবার তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর শরীরে জটিল অস্ত্রোপচার হতে পারে।
কানন সরকার বলেন, তাঁর স্বামী মানুষের সান্নিধ্য পছন্দ করেন। শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও এখন তিনি নিজ বাসায় চলে যেতে চাইছেন।
যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক সুদীর্ঘকাল ধরে মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার, ড.
৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে আসেন নিজ জেলা নেত্রকোনায়। বর্তমানে বসবাস করছেন শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাড়িতে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: যত ন সরক র প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।