ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে পবিত্র হজ সম্পন্ন করে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৬৯ জন হাজি।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘এসভি-৩৮০৩’ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এ সময় বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজে হাজিদের স্বাগত জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.

মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি ফুল দিয়ে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটের হাজিদের বরণ করে নেন।

আরো পড়ুন:

হজের ফিরতি ফ্লাইট মঙ্গলবার থেকে

হজে আরো ২ বাংলাদেশির মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

বিমানবন্দরে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আজ আরো সাতটি ফিরতি ফ্লাইটে আড়াই হাজারের বেশি হাজি দেশে ফিরবেন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত।

এ বছর হজ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে প্রথম হজ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ২৯ এপ্রিল।এরপর প্রায় এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে হজযাত্রীদের বহন করে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়। সর্বশেষ হজ ফ্লাইটটি যায় গত ১ জুন। পুরো এই সময়ে মোট ২২০টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।

এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনায় অংশ নেয় তিনটি এয়ারলাইনস।সেগুলো হচ্ছে—বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস। ফিরতি যাত্রার ক্ষেত্রেও এসব এয়ারলাইনস প্রতিদিন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা
ফিরতি হজযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা। বেবিচক জানিয়েছে, এভসেক পুরো হজযাত্রী চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফ্লাইট আগমনের পর আনসার সদস্যরা হাজিদের স্বাগত জানিয়ে সঠিক পথে গাইড করবেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের তত্ত্বাবধানে হাজিদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ কাউন্টারে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে করে ভিড় এড়ানো এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

লাগেজ বেল্ট ৫, ৬, ৭ ও ৮ শুধুমাত্র হাজিদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। আনসার সদস্যরা হাজিদের লাগেজ সংগ্রহে সহায়তা করবেন। লাগেজ সংগ্রহ শেষে হাজিরা গ্রিন চ্যানেল-২ দিয়ে কাস্টমস পার হবেন। এরপর তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তত্ত্বাবধানে জমজমের পানি সংগ্রহ করবেন এবং ক্যানোপি-২ দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।

এছাড়া, এপিবিএন এর ব্যবস্থাপনায় হাজিদের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভওয়েতে যান চলাচল সুনিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ ন শ চ ত কর ব যবস থ হজয ত র পর চ ল ল ইন স করব ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি না মানলে এনবিআরের সব দপ্তর হবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণসহ নানা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। দাবি পূরণ না হলে ২৮ জুন থেকে সব দপ্তর কমপ্লিট শাটডাউনের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। এর পাশাপাশি ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা। এর আগে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতি পালন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, আপনারা জানেন, অনেককে সম্প্রতি বদলি করা হয়েছে। এসব বদলির আদেশ বাতিল করতে হবে। এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব দপ্তর কমপ্লিট শাটডাউন করবে।

আরো পড়ুন:

র‍্যাগিং বন্ধ ও নিরাপত্তার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

তারা বলেন, রাজস্ব অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে এনবিআর গঠিত রাজস্ব অধ্যাদেশ সংস্কারবিষয়ক কমিটি বাতিল করে আজকের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে ঐক্য পরিষদ জানায়, মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি, কলম বিরতি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ অব্যাহত থাকবে। নতুন কোনো বদলির আদেশ হলে ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে।

আগামী ২৭ জুনের মধ্যে কর কর্মকর্তাদের বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ করা হবে।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ