প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন ৩৬৯ হাজি
Published: 10th, June 2025 GMT
ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে পবিত্র হজ সম্পন্ন করে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৬৯ জন হাজি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘এসভি-৩৮০৩’ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজে হাজিদের স্বাগত জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.
আরো পড়ুন:
হজের ফিরতি ফ্লাইট মঙ্গলবার থেকে
হজে আরো ২ বাংলাদেশির মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
বিমানবন্দরে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আজ আরো সাতটি ফিরতি ফ্লাইটে আড়াই হাজারের বেশি হাজি দেশে ফিরবেন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত।
এ বছর হজ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে প্রথম হজ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ২৯ এপ্রিল।এরপর প্রায় এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে হজযাত্রীদের বহন করে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়। সর্বশেষ হজ ফ্লাইটটি যায় গত ১ জুন। পুরো এই সময়ে মোট ২২০টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।
এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনায় অংশ নেয় তিনটি এয়ারলাইনস।সেগুলো হচ্ছে—বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস। ফিরতি যাত্রার ক্ষেত্রেও এসব এয়ারলাইনস প্রতিদিন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা
ফিরতি হজযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা। বেবিচক জানিয়েছে, এভসেক পুরো হজযাত্রী চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফ্লাইট আগমনের পর আনসার সদস্যরা হাজিদের স্বাগত জানিয়ে সঠিক পথে গাইড করবেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের তত্ত্বাবধানে হাজিদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ কাউন্টারে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে করে ভিড় এড়ানো এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
লাগেজ বেল্ট ৫, ৬, ৭ ও ৮ শুধুমাত্র হাজিদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। আনসার সদস্যরা হাজিদের লাগেজ সংগ্রহে সহায়তা করবেন। লাগেজ সংগ্রহ শেষে হাজিরা গ্রিন চ্যানেল-২ দিয়ে কাস্টমস পার হবেন। এরপর তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তত্ত্বাবধানে জমজমের পানি সংগ্রহ করবেন এবং ক্যানোপি-২ দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
এছাড়া, এপিবিএন এর ব্যবস্থাপনায় হাজিদের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভওয়েতে যান চলাচল সুনিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ ন শ চ ত কর ব যবস থ হজয ত র পর চ ল ল ইন স করব ন প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
নারীকে নির্যাতনের পর চুল কাটা: আসামি ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাও
মাংস চুরির অভিযোগে নারীকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা পুলিশ। ওই আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে গ্রামবাসী। এ সময় প্রায় ঘণ্টাখানেক পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।
বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দারা থানার সামনে আসেন। তারা গ্রেপ্তার একই গ্রামের রিপনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন, মোমিনের স্ত্রী পারভিন খাতুন ও বক্করের স্ত্রী লিপি খাতুনকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়। ১১টা ৩৫ মিনিট থেকে কয়েক মিনিট গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত সোমবার বিকেলে প্রতিবেশীর ঘরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে ভুক্তভোগী নারীর বিরুদ্ধে। সে সময় প্রতিবেশীর স্ত্রী তাকে ধরে বাড়ির উঠানে পেয়ারা গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করে মাংস কেড়ে নেন। এক পর্যায়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান স্বামী।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন রাত ৮টার দিকে তাদের বাড়িতে ভাঙচুর করে তাঁকে তুলে ফের প্রতিবেশীর বাড়ি নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন। রাত ১০টার দিকে স্বজন ও এলাকাবাসী নিয়ে সালিশ বসান স্থানীয় ইউপি সদস্য। এ সময় মারধরের শিকার নারীর দুটি গরু, একটি ছাগল ও স্বর্ণালংকারের বিনিময়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ তিন নারীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এর পরপরই ওই গ্রামের লোকজন থানায় আসেন। থানা চত্বরে গিয়ে এ সময় জনতার ভিড় দেখা যায়। পুলিশ আসামিদের গাড়িতে তুলছে। আর মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দারা তাদের বাধা দিচ্ছে।
এ সময় মির্জাপুর গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রিপন বলেন, ‘ওই নারী সোমবার আমার বাড়ি থেকে ৪১ হাজার টাকা ও মাংস চুরি করে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। আর পুলিশ চোরের পক্ষ নিয়ে আমার স্ত্রীসহ তিনজনকে ধরে এনেছে। আমরা চোরের শাস্তি ও আটক নারীদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেছি।’
মামলার বাদীর ভাষ্য, ‘ষড়যন্ত্র করে চুরির নাটক সাজিয়ে আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন গ্রামের লোকজন। আমি বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। কিন্তু মামলা তোলার জন্য সবাই হুমকি দিচ্ছে।’
মামলাটির তদন্ত করছেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, মামলায় ওই নারী শারীরিক নির্যাতন, চু্ল কাটা, বাড়িঘরে ভাঙচুর-লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন। তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে থানা ঘেরাও করার বিষয়টি অস্বীকার করেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ। তাঁর ভাষ্য, আসামিদের আদালতে নেওয়ার সময় গ্রামের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।