দুর্বৃত্তের আগুনে চার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই
Published: 12th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর এলাকায় তালতলা নামে একটি ক্যাফেতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুমারখালী-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর এলাকায় সড়কের দুই ধারে প্রায় পাঁচ শতাধিক তালগাছ রয়েছে। সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় প্রায় এক বছর আগে সেখানে ঢাকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহ রুবায়েত ইসলাম রোহান, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী স্বাধীন আহমেদ ও রিয়াদ এবং কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সজিব আহমেদ মিলে প্রায় ১৩ শতাংশ জমির ওপর তালতলা নামে একটি ক্যাফে গড়ে তোলেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর ইউনিয়নের জংগলী গ্রামের শফি মণ্ডলের ছেলে সজল তার বন্ধু ও স্বজনদের নিয়ে তালতলা ক্যাফেতে এসেছিলেন। তারা ক্যাফের দোলনা নৌকায় বিনা টিকিটে উঠে পড়েন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে ক্যাফে কর্তৃপক্ষের কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাত ১২টার দিকে সজলরা ক্যাফে থেকে চলে যান। আর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ক্যাফে আগুন দেখতে পান শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শনার্থী বলেন, ‘কুষ্টিয়া শহর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছি। কিন্তু রাতে কারা যেন ক্যাফেতে আগুন দিয়েছে। তাই ফিরে যাচ্ছি।’
ক্যাফের নৌকাচালক নিশান বলেন, ‘সন্ধ্যায় কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। রাতে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি আগুন জ্বলছে। আর দু’জন মোটরসাইকেলে জংগলীর দিকে চলে গেল। তাদের চিনতে পারিনি।’
তালতলা ক্যাফের মালিকদের একজন শাহ রুবায়েত ইসলাম রোহান বলেন, ‘চার বন্ধু মিলে এক বছর আগে ক্যাফেটি চালু করি। তাল গাছের কারণে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। গতকাল স্থানীয় বাসিন্দা সজল, তার বন্ধু ও স্বজনরা এসে বিনা টিকিটে নৌকায় চড়েন। টাকা চাইলে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। সবশেষ রাত ১২টার দিকে ক্যাফে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান তারা। এরপর রাত আড়াইটার দিকে শুনি ক্যাফেতে আগুন জ্বলছে।’
তার ভাষ্য, শত্রুতা করে সজল বা তার লোকজন ক্যাফেতে আগুন লাগিয়েছেন। পুলিশ এসেছিল। থানায় মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সজলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
কুমারখালী থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসির বিমানবাহিনীর প্রধান নিহত
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরানে আগের রাতে চালানো বিমান হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিতে হাজিজাদেহ ও তাঁর শীর্ষ সহকর্মীরা একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে বৈঠক করছিলেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় পুরো সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের ড্রোন ইউনিট ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডাররা রয়েছেন।
আইডিএফের দাবি, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মূল নেতৃত্বে ছিল আইআরজিসির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
আরও পড়ুনকয়েক দশকের ছায়া যুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইসরায়েল ও ইরান৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের দাবি, ২০১৯ সালে সৌদি আরবে জ্বালানি স্থাপনায় আলোচিত ড্রোন হামলার নেতৃত্ব দেন আইআরজিসির এই কর্মকর্তারা।
তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে আমির আলী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, এই হামলাকে ‘নৃশংস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড। ১৬ বছর ধরে আইআরজিসির বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হাজিজাদেহ। ইরানের সামরিক কৌশলের অন্যতম প্রধান পরিকল্পকারী ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছায়।
আইআরজিসির বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অপরাধ আমাদের জাতিকে দুর্বল করবে না, বরং প্রতিশোধের সংকল্প আরও দৃঢ় করে তুলবে।’