ভোলায় ক্যারম খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত তরুণের মৃত্যু
Published: 12th, June 2025 GMT
ভোলা সদর উপজেলায় ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত তরুণের নাম ইসমাঈল (২২)। তিনি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের ঘোলপাড় এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে শ্যামপুর গ্রামের ঘোলপাড় এলাকায় ভাই ও বন্ধুদের নিয়ে ক্যারম খেলছিল ইসমাঈল। হঠাৎ রুমা আক্তার (৩০) নামের প্রতিবেশী এক প্রতিবন্ধী নারী সেখানে গিয়ে ক্যারমের ঘুঁটি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে দেন। এ সময় ওই তরুণ-যুবকেরা রুমাকে চড়থাপ্পড় দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। রুমা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেলে তাঁর পরিবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে রুমার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম, সবুজ, সাগরসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইসমাঈল ও তাঁর পরিবারের সাত-আটজনকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় ইসমাঈল, তাঁর বোন খাদিজা বেগম ও বীথি ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে ইসমাঈলের মৃত্যু হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।