ভোলা সদর উপজেলায় ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত তরুণের নাম ইসমাঈল (২২)। তিনি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের ঘোলপাড় এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে শ্যামপুর গ্রামের ঘোলপাড় এলাকায় ভাই ও বন্ধুদের নিয়ে ক্যারম খেলছিল ইসমাঈল। হঠাৎ রুমা আক্তার (৩০) নামের প্রতিবেশী এক প্রতিবন্ধী নারী সেখানে গিয়ে ক্যারমের ঘুঁটি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে দেন। এ সময় ওই তরুণ-যুবকেরা রুমাকে চড়থাপ্পড় দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। রুমা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেলে তাঁর পরিবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে রুমার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম, সবুজ, সাগরসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইসমাঈল ও তাঁর পরিবারের সাত-আটজনকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় ইসমাঈল, তাঁর বোন খাদিজা বেগম ও বীথি ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে ইসমাঈলের মৃত্যু হয়।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মো.

হাচনাইন পারভেজ জানান, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ইসমাঈদের চাচা অলিউল্লাহ বাদী হয়ে একটি হামলা-সংঘর্ষের মামলা করেন। এতে মফিজুলকে প্রধান আসামি করে ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসমাঈল গেছেন। তাই এটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসির বিমানবাহিনীর প্রধান নিহত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরানে আগের রাতে চালানো বিমান হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিতে হাজিজাদেহ ও তাঁর শীর্ষ সহকর্মীরা একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে বৈঠক করছিলেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় পুরো সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের ড্রোন ইউনিট ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডাররা রয়েছেন।

আইডিএফের দাবি, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মূল নেতৃত্বে ছিল আইআরজিসির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল।

আরও পড়ুনকয়েক দশকের ছায়া যুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইসরায়েল ও ইরান৩ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলের দাবি, ২০১৯ সালে সৌদি আরবে জ্বালানি স্থাপনায় আলোচিত ড্রোন হামলার নেতৃত্ব দেন আইআরজিসির এই কর্মকর্তারা।

তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে আমির আলী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, এই হামলাকে ‘নৃশংস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড। ১৬ বছর ধরে আইআরজিসির বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হাজিজাদেহ। ইরানের সামরিক কৌশলের অন্যতম প্রধান পরিকল্পকারী ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছায়।

আইআরজিসির বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অপরাধ আমাদের জাতিকে দুর্বল করবে না, বরং প্রতিশোধের সংকল্প আরও দৃঢ় করে তুলবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ