লাস ভেগাসে আটক জনপ্রিয় টিকটকার খাবি লামে, নিজেই ছাড়লেন যুক্তরাষ্ট্র
Published: 12th, June 2025 GMT
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিকটকার খাবি লামে, বিশ্বজুড়ে যাঁর কোটি কোটি অনুসারী। সেই খাবি লামে লাস ভেগাসে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তাদের হাতে আটক হয়েছিলেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যান।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের কারণে আইসিই কর্মকর্তারা তাঁকে আটক করেছিলেন। সেনেগাল বংশোদ্ভূত ইনফ্লুয়েন্সার খাবি লামের আসল নাম সেরিন খাবানে লামে।
গত শুক্রবার হ্যারি রিড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাবি লামেকে আটক করা হয়। তবে পরে বিতাড়নের নির্দেশ ছাড়াই তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইসিই মুখপাত্র বলেন, লামে গত ৩০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং নিজের ভিসার শর্ত অমান্য করে নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) থেকে গত মঙ্গলবার লামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া ই–মেইল ঠিকানায় মন্তব্যের জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছিল। তিনি এখনো জনসমক্ষে তাঁর আটক হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সেনেগালে জন্ম নেওয়া এই ইনফ্লুয়েন্সার শিশু বয়সে শ্রমজীবী মা-বাবার হাত ধরে ইতালিতে পাড়ি জমান। পরে তিনি ইতালির নাগরিকত্ব পান।জানুয়ারিতে লামেকে ইউনিসেফের ‘গুডউইল অ্যাম্বাসেডর’ করা হয়। বিশ্বজুড়ে নানা নামীদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
খাবি লামের আটক ও স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী অভিযানে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে আইসিইর অভিযানও রয়েছে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইসিইর অভিযানের প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েক দিন ধরে টানা বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুনচাকরি হারিয়েই ১০০ কোটি টাকার মালিক২৫ জুন ২০২২লামেকে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাঁদের বিতাড়ন করা হয়, তাঁদের এমন একটি সুযোগ দেওয়া হয়, যেন তাঁরা স্বেচ্ছায় সে দেশ ছাড়েন এবং নিজেদের অভিবাসন রেকর্ড থেকে আনুষ্ঠানিক বিতাড়ন আদেশ এড়াতে পারে। কারণ, রেকর্ডে এমন আদেশ থাকলে অনেক সময় ১০ বছর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকতে পারে।
২৫ বছর বয়সী খাবি লামে মহামারির সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে ভিডিও পোস্ট করে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পান। সাধারণত ভিডিওগুলোয় তিনি কোনো কথাই বলেন না, সেগুলোতে তাঁকে অতিমাত্রায় জটিল করে ও অযৌক্তিক ‘লাইফ হ্যাক’ নিয়ে অঙ্গভঙ্গি করে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়। শুধু টিকটকে তাঁর ১৬ কোটি ২০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে।
আরও পড়ুনটিকটকে এখন সবচেয়ে বেশি অনুসারী সেই খাবি লামের২৪ জুন ২০২২সেনেগালে জন্ম নেওয়া এ ইনফ্লুয়েন্সার শিশু বয়সে শ্রমজীবী মা-বাবার হাত ধরে ইতালিতে পাড়ি জমান। পরে তিনি ইতালির নাগরিকত্ব পান।
জানুয়ারিতে লামেকে ইউনিসেফের ‘গুডউইল অ্যাম্বাসেডর’ করা হয়। বিশ্বজুড়ে নানা নামীদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
নিউইয়র্ক সিটিতে গত মাসে মেটা গালা অনুষ্ঠিত হয়। লামে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনটিকটকে অসম্ভবকে সম্ভব করাই খাবি লামের কাজ১৮ জুন ২০২১.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ট কটক আইস ই
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল