জুলাই ও আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। আগামী সপ্তাহে এ দুটি সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা পাকিস্তানের নির্বাচকদের। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিকে এ দুটি সিরিজে নাও দেখা যেতে পারে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ মাইক হেসন ও নির্বাচকদের প্যানেল তরুণদের আরও বেশি সুযোগ দিতে এ দুটি সিরিজে সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিবেচনার বাইরে রেখেছেন।

আরও পড়ুনওয়ানডেতে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মিরাজ১৫ ঘণ্টা আগে

বাবর, রিজওয়ান ও শাহিনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে হেসন ও নির্বাচকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁদের প্রয়োজন নেই এবং তাঁরা যেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডেতে মনোযোগ দেন, এই কথা তিন তারকা ক্রিকেটারকে বলেছেন হেসন ও নির্বাচকরা। সূত্রের ভাষ্য, ‘পরিকল্পনাটা হলো পরিস্থিতি খারাপ হলে নির্বাচকেরা সব সময়ই বাবর, রিজওয়ান ও শাহিনকে ফেরাতে পারবেন।’

ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে (এফটিপি) আগামী জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পিটিআই অবশ্য জানিয়েছে, এই সিরিজটি আগস্টে নিয়ে আরও দুটি ম্যাচ বাড়ানোর প্রস্তাব উঠেছে। তবে কোন পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। লডারহিলে ১, ৩ ও ৪ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।

বাঁহাতি পেসার শাহিন আফ্রিদি গত মে মাসে পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটিকে শিরোপা জেতান। বাবর প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলার ঘোষণা দিতে পারেন দ্রুতই। সিডনি সিক্সার্সের হয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য তাঁকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ—এর মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে বিগ ব্যাশের নতুন মৌসুম।

আরও পড়ুনফাইনালে উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন স্টার্কের, কার রেকর্ড ভাঙল২১ ঘণ্টা আগে

বাবর, রিজওয়ান ও শাহিনকে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বশেষ দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দলে বিবেচনা করা হয়নি। গত মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ এ হারে পাকিস্তান। মে-জুনে ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে অবশ্য ধবলধোলাই করে পাকিস্তান। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পাকিস্তান দলে বাবরকে বিবেচনা করা হয়নি।

পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটিতে আজহার আলী, আসাদ শফিক, আকিব জাভেদ ও সাবেক আম্পায়ার আলিম দারকে রেখে শুধু একটি পরিবর্তন এনেছে পিসিবি। উসমান হাশমিকে সরিয়ে হাসান চিমাকে তথ্য বিশ্লেষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হাশমিকে নির্বাচক কমিটির সহকারী হিসেবে রাখা হয়েছে। তিনি ভোট দিতে পারবেন না। গত পরশু সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচক কমিটিতে এই পরিবর্তনের বিষয়টি জানায় পিসিবি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জওয় ন ও শ হ ন আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।

অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।

ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।

স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’

উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’

পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ