ব্যক্তিজীবনে টানাপোড়েন, আলোচনা, সমালোচনা থাকলেও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর ক্যারিয়ারের গ্রাফ কিন্তু উর্দ্ধমুখী। শোবিজে দশ বছর হলো প্রবেশ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা- তিনি নিজেকে একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছেন।

চ্যালেঞ্জিং চরিত্র রূপায়নেও দারুণভাবে আগ্রহী এই নায়িকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন এবং নন্দিত নায়িকা সাবানার বায়োপিকে অভিনয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বুবলী বলেন, ‘‘ বলতে গেলে স্পেসিফিক কারও বায়োাপিকে অভিনয় করার ইচ্ছা নেই। কিন্তু শিল্পীদের নিজেদের এক্সপ্লোর করার কোনো সীমারেখা নেই। স্পেশালি যদি আমি আমার কথা বলি তাহলে বলবো যে, যেকোনো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রই আমার খুব টানে। সেটা দেশ-বিদেশের যেকোনো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের বায়োপিক হতে পারে আবার ভালো গল্পও হতে পারে। আমি আসলে বার বার নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। কাজটা এনজয় করে করতে চাই। আমাদের লেজেন্ডারি অনেক আর্টিস্ট আছেন। সুচিত্রা সেন ম্যাডাম বা সাবানা ম্যাডাম এর বায়োপিক হলে অবশ্যই কাজ করতে চাই।’’

আরো পড়ুন:

শাকিব-অপুর ভিডিও ভাইরাল, বুবলী বললেন ‘নোংরা ভিডিও ছড়াবেন না’

শাকিবের দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়ে বিপদে অপু!

সম্প্রতি সজলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বুবলী। প্রাথমিক নাম রাখা হয়েছে ‘শাপলা শালুক’। সজল ও বুবলী অভিনীত এই সিনেমাতে আরও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ঈদুল আজহায় বুবলী অভিনীত দুইটি সিনেমা  ‘সর্দারবাড়ির খেলা’ ও ‘পিনিক’ মুক্তির গুঞ্জন ছিল। দর্শকদের মধ্যে আগ্রহও তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সিনেমা দুইটি মুক্তি পায়নি।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ