দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেলসহ অন্যান্য বেস্টসেলিং থ্রিলারের ব্রিটিশ লেখক ফ্রেডেরিক ফরসাইথ মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর এজেন্ট জোনাথন লয়েড জানান, ৯ জুন ভোরে নিজ বাড়িতে মারা যান এই লেখক। লয়েড বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা থ্রিলার লেখকের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’

১৯৩৮ সালে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের কেন্টে জন্মগ্রহণকারী ফরসাইথ সাংবাদিক হওয়ার আগে রয়্যাল এয়ারফোর্সের পাইলট হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গলের হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করেন। এ ঘটনা তাঁকে দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল লিখতে অনুপ্রেরণা জোগায়। বইটি ছিল একজন পেশাদার ঘাতককে নিয়ে তাঁর সর্বাধিক বিক্রীত রাজনৈতিক থ্রিলার।

১৯৭১ সালে প্রকাশিত বইটি তাঁকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়। ১৯৭৩ সালে এটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল। ২০১৫ সালে ফরসাইথ বিবিসিকে বলেছিলেন, ১৯৬০-এর দশকে নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের সময় থেকে তিনি ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর হয়েও কাজ করেছেন।

তাঁর এজেন্ট জোনাথন লয়েড বলেন, দ্য আফগান, দ্য কিল লিস্ট, দ্য ডগস অব ওয়ার, দ্য ফিস্ট অব গডসহ ২৫টির বেশি বই লিখেছেন। যেগুলোর ৭ কোটি ৫০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে।

সূত্র: এপি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ