শুভর ‘নীলচক্র’, শেষ কয়েক মিনিটেই কি গন্ডগোল
Published: 14th, June 2025 GMT
দুই বছরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে ১৬ তরুণীর ব্যক্তিগত ভিডিও। এ ঘটনায় পাঁচজন আত্মহত্যা করে। পুরো ঘটনাই একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের; উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভিডিওগুলো। এর পেছনে কি বড় একটি চক্র রয়েছে? কী চায় তারা? এমন প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে গেছে মিঠু খানের ‘নীলচক্র’। সাইবার অপরাধ হালের বহুল চর্চিত বিষয়, ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে প্রতারিত হওয়ার গল্প আজকাল পত্রিকা খুললেই দেখা যায়। এমন আলোচিত বিষয় নিয়ে সিনেমা, ‘নীলচক্র’ তাই হতে পারত রোমাঞ্চকর এক থ্রিলার। কিন্তু দুর্বল চিত্রনাট্য আর নির্মাণে সিনেমাটি কি সেটা পারল?
একনজরেসিনেমা: ‘নীলচক্র’
ধরন: থ্রিলার
গল্প: নাজিম উদ দৌলা
চিত্রনাট্য: নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান
পরিচালনা: মিঠু খান
অভিনয়: আরিফিন শুভ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, শিরিন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, দীপান্বিতা মার্টিন
দৈর্ঘ্য: ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট
থ্রিলার হলেও সিনেমার শুরুটা পুরোপুরি পারিবারিক আবহে। শুরুর আধঘণ্টায় ফ্যামিলি ড্রামা হিসেবে ভালোই লাগছিল। গল্প বহিষ্কৃত গোয়েন্দা কর্মকর্তা ফয়সালকে (আরিফিন শুভ) নিয়ে। স্ত্রী নেই, একমাত্র মেয়ে জুঁই আর খালাকে নিয়ে সংসার। বহিষ্কারাদেশের পর বাড়িতে ভালোই সময় কাটছিল। কিন্তু ভিডিও ফাঁসের জেরে তরুণীর আত্মহত্যার মতো হাই প্রোফাইল কেস আসায় ফয়সালের ডাক পড়ে। কিন্তু তদন্তে নেমে একটু এগিয়েও আবার পিছিয়ে যেতে হয়; যখনই একটু আলোর দিশা আসে তখনই নতুন কোনো মরদেহ ফয়সালকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।
সিনেমায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাবও দেখানো হয়েছে। টুটাং অ্যাপে লাইক পাওয়া আর নেট দুনিয়ায় প্রভাবশালী ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার নেশা যে কতটা মরিয়া হতে পারে, সেটাও দেখানো হয়েছে সিনেমায়। মোটাদাগে গল্প শুনতে খারাপ না, কিন্তু পর্দায় এর রূপান্তর ঘটেছে কমই।
‘নীলচক্র’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা ও আরিফিন শুভ। ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন লচক র
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।
দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।
মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ