ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন ছুটির পর রবিবার (১৫ জুন) ব্যাংক-বিমাসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট খুলেছে। ব্যাংক পাড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকদের মধ্যে ছিল ঈদের আমেজ।

তবে গ্রাহক উপস্থিতি ছিল অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম।  রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

ঈদের ছুটির পর প্রথমদিন ব্যাংক পাড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে। তাছাড়া ব্যস্ততা কম থাকায় অনেকেই অলস সময় পার করছেন। গ্রাহকদের উপস্থিতি কম থাকায় ঢিলেঢালা লেনদেন চলছে। আগের মতো চিরচেনা দীর্ঘ লাইন নেই গ্রাহকদের।

আরো পড়ুন:

ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি: নিরাপত্তাপ্রহরীর দোষ স্বীকার

মূল্যস্ফীতি কমলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদহার কমানো হবে: গভর্নর 

ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপাকালে তারা জানান, ঈদের ছুটির পর আজ ব্যাংক খুললেও গ্রাহকদের উপস্থিতি সকালের দিকে স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি কিছুটা বাড়ছে । বড় ধরনের কোন লেনদেন হচ্ছে না, যা হচ্ছে তা ছোট ছোট। দুই একদিন পর থেকে ব্যাংকগুলোতে পুরোপুরি লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।

তারা জানান, ঈদের পর সাধারণত ব্যাংকগুলোতে চেক জমা, উত্তোলন, বেতন পরিশোধ, ব্যবসায়িক লেনদেন, ঋণের কিস্তি পরিশোধ, আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম আবার সচল হতে শুরু করেছে। তবে আজ চেক ক্লিয়ারিং হাউজে লেনদেন অনেক কম ছিল। ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে এটি সাধারণত ধীরগতিই থাকে। এবারো তাই হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে কার্যক্রম চলছে। বড় ধরনের লেনদেন হচ্ছে কম। তবে ছোট লেনদেন হলেও গ্রাহকদের চাপ তুলনামূলক কম। কর্মকর্তাদের মধ্যে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আমেজেই কাটছে আজ। তাছাড়া কর্মকর্তারা ব্যাংকের আভ্যন্তরীন কিছু কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।”

সাধারণ সময়সূ‌চি অনুযায়ী লেনদেন হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থে‌কে লেনদেন শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকগুলোর অফিস খোলা থাকবে ৬টা পর্যন্ত।

ঢাকা/এনএফ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র কর মকর ত ছ ট র পর উপস থ ত ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ