ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনিবার রাতে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের শহর বাট ইয়ামের একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানলে অন্তত সাতজন নিহত হন। আহত হন আরও শতাধিক ব্যক্তি। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন।

এটা ছিল ইরানের টানা দ্বিতীয় রাতের মতো ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সাইরেন বেজে ওঠে। স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার পরপর তেল আবিব, দেশের মধ্যাঞ্চলের অনেক এলাকা, আশদোদ শহর এবং জেরুজালেমের অনেক এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে যান। পরে বাট ইয়াম শহর ছাড়াও রেহোভোট ও রামাত গানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়।

বাট ইয়ামে নিহত সাতজনের মধ্যে আট বছরের একটি মেয়ে, ১০ বছরের একটি ছেলে এবং ১৮ বছরের এক তরুণ রয়েছে। সেখানে প্রায় ২০০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে উদ্ধাকর্মীরা জানিয়েছেন।

সাতজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ব্রিগেডের সেনারা রোববার সকালেও ধ্বংসস্তূপে তাঁদের সন্ধান চালান বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

এ এলাকার বাসিন্দা রিবাট ভাকনিন চ্যানেল ১২ নিউজকে বলেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি সময়মতো নিরাপদ আশ্রয়ে (বোম্ব শেল্টার) যেতে পারেননি।

‘আমার ভাই তাঁকে আনতে ঘরে ঢুকেছিল। তখন বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ানকভাবে সবকিছু কাঁপতে থাকে। আমার ভাই আহত হয়েছে, আমার কুকুর আহত হয়েছে। তারা এখন আমার বাবাকে খুঁজছে,’ বলেন তিনি।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি ভবন দেখা যাচ্ছে। বাট ইয়াম, ইসরায়েল, ১৫ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র র একট

এছাড়াও পড়ুন:

‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল

শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ