কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ আজ রোববার ৮ শতাধিক যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ স্টেশনে আটকা পড়েছিল। ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে আরেকটি ইঞ্জিন এনে বিকেল পাঁচটার দিকে ট্রেনটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় আটকা পড়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক (স্টেশনমাস্টার) মো.

গোলাম রব্বারী বলেন, আজ কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর; অর্থাৎ বেলা পৌনে একটার দিকে আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে ট্রেনটি ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ স্টেশনে পৌঁছালে আকস্মিক ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। মূলত ট্রেনটির ইঞ্জিনের মোটর পুড়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের ২৩টি বগিতে ৮ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর; অর্থাৎ বিকেল পাঁচটার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। তাতে ট্রেনযাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে রিলিফ ট্রেন নেই। চট্টগ্রাম থেকে আরেকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে (ইসলামাবাদ) পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে। এরপর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র নট

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে সুরের মূর্ছনায় মাতালেন নকীব-তাহসান

বাংলা সংগীতের দুই প্রজন্মের জনপ্রিয় দুই শিল্পী নকীব খান ও তাহসান খান এক মঞ্চে উঠে মুগ্ধ করলেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আয়োজন করা এই বিশেষ কনসার্টে উদ্‌যাপিত হয় সংগীতজগতের দুটি মাইলফলক—নকীব খানের সংগীতজীবনের সুবর্ণজয়ন্তী এবং তাহসান খানের রজতজয়ন্তী। গত শনিবার লিভারপুল ক্যাথলিক ক্লাবের (এলসিসি) থিয়েটারে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান, যার শিরোনাম ছিল ‘জেনারেশনস অব মেলোডিজ’।
সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া কনসার্টে সিডনিতে বসবাসরত কয়েক শ সংগীতপ্রেমী অংশ নেন। শুরু থেকেই একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন দুই শিল্পী।

নকীব খান ‘মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’সহ আরও অনেক গান গেয়ে শ্রোতাদের ফিরিয়ে নেন সোনালি অতীতে। মঞ্চে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীত তারকা তাহসান খান পরিবেশন করেন তাঁর আলোচিত গান ‘আলো আলো’, ‘বিন্দু তুমি’, ‘মাঝে মাঝে’সহ আরও কয়েকটি গান। তাহসানের তারুণ্যদীপ্ত পরিবেশনা শ্রোতাদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে। পুরো অডিটরিয়ামে তখন তৈরি হয় মেলোডির অনন্য মেলবন্ধন—একদিকে নকীবের নস্টালজিক সুর, অন্যদিকে তাহসানের আধুনিক আবেগময় গান।

অনুষ্ঠান শেষে দর্শকেরা জানালেন তাঁদের মুগ্ধতার কথা। প্রবাসী আবাসন নির্মাতা তালাত মাহমুদ বলেন, ‘নকীব খানের গান শুনে বড় হয়েছি। আজ তাঁকে সরাসরি মঞ্চে দেখে মনে হলো, এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা।’ কেক এন বেকের কর্ণধার মাসুম খান বলেন, ‘তাহসানের গান আমার সব সময়ের প্রিয়। আজকের কনসার্ট ছিল স্বপ্নের মতো।’ ‘আমাদের কথা’র সম্পাদক পূরবী পারমিতা বোস বলেন, ‘পরিবারের সবাই মিলে এমন একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটানো সত্যিই অসাধারণ। নকীব খান ও তাহসান—দুজনই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন।’
এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইকনিক ট্রেড অস্ট্রেলিয়া। সহযোগী হিসেবে ছিল ক্রেজি টিকেটস ও ধূমকেতু ব্যান্ড।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে আইকনিক ট্রেড অস্ট্রেলিয়ার কর্ণধার মোশারফ রেহান বলেন, ‘সিডনিবাসীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা ছাড়া এমন একটি সফল আয়োজন সম্ভব হতো না। নকীব ও তাহসানের মতো শিল্পীদের এক মঞ্চে পাওয়া আমাদের জন্যও ছিল বড় প্রাপ্তি।’
সব মিলিয়ে সিডনিতে অনুষ্ঠিত এই কনসার্ট হয়ে উঠেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে স্মরণীয় এক সংগীতযাত্রা। যেখানে মিশেছে দুই প্রজন্মের সংগীতধারা, নস্টালজিয়া আর আধুনিকতার অনবদ্য সুর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিডনিতে সুরের মূর্ছনায় মাতালেন নকীব-তাহসান