এই জুলাই মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল রিমঝিম বড়ুয়ার। পরিবারজুড়ে ছিল আনন্দ-উৎসবের প্রস্তুতি। বিয়ে সাজসজ্জার কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলেন চট্টগ্রামে। পথেই দুর্ঘটনায় থেমে যায় সেই যাত্রা। 

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৭টায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর জেটিঘাট এলাকায় বাস ও কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে প্রাণ হারান রিমঝিম বড়ুয়া (২৩)। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। নিহত হন আরও দু’জন- কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের হাবিবউল্লাহ ও তার ১০ বছরের শিশু সন্তান মোহাম্মদ রিয়াদ।

নিহত রিমঝিম বড়ুয়া রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুল এলাকার দিনমজুর হিমাংশু বড়ুয়ার মেয়ে। একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ছিলেন রিমঝিম। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করতেন দীর্ঘদিন ধরে। বিয়ের দিন ধার্য ছিল আগামী ৫ জুলাই, পাত্রের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।

রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন বড়ুয়া বলেন, ‘‘আজ সকালে রিমঝিম তার ছোট বোন ও আত্মীয়দের নিয়ে চট্টগ্রামে বিয়ের কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলেন। রামুর বাইপাস থেকে পূরবী পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বাসটি রশিদনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বাসটি উল্টে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রিমঝিম।’’ 

দুর্ঘটনায় বাসের অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘চট্টগ্রামগামী একটি বাস ও বিপরীতমুখী কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক।’’ 

রিমঝিমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং সহকর্মীদের মাঝে। যার আগামী মাসেই বাজতো বিয়ের সানাই, তারই আজ চলছে শেষকৃত্যের আয়োজন। তাই শোকে মুহ্যমান স্বজনেরা।

ঢাকা/তারেকুর/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না রিমঝিমের

এই জুলাই মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল রিমঝিম বড়ুয়ার। পরিবারজুড়ে ছিল আনন্দ-উৎসবের প্রস্তুতি। বিয়ে সাজসজ্জার কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলেন চট্টগ্রামে। পথেই দুর্ঘটনায় থেমে যায় সেই যাত্রা। 

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৭টায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর জেটিঘাট এলাকায় বাস ও কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে প্রাণ হারান রিমঝিম বড়ুয়া (২৩)। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। নিহত হন আরও দু’জন- কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের হাবিবউল্লাহ ও তার ১০ বছরের শিশু সন্তান মোহাম্মদ রিয়াদ।

নিহত রিমঝিম বড়ুয়া রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুল এলাকার দিনমজুর হিমাংশু বড়ুয়ার মেয়ে। একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ছিলেন রিমঝিম। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করতেন দীর্ঘদিন ধরে। বিয়ের দিন ধার্য ছিল আগামী ৫ জুলাই, পাত্রের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।

রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন বড়ুয়া বলেন, ‘‘আজ সকালে রিমঝিম তার ছোট বোন ও আত্মীয়দের নিয়ে চট্টগ্রামে বিয়ের কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলেন। রামুর বাইপাস থেকে পূরবী পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বাসটি রশিদনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বাসটি উল্টে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রিমঝিম।’’ 

দুর্ঘটনায় বাসের অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘চট্টগ্রামগামী একটি বাস ও বিপরীতমুখী কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক।’’ 

রিমঝিমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং সহকর্মীদের মাঝে। যার আগামী মাসেই বাজতো বিয়ের সানাই, তারই আজ চলছে শেষকৃত্যের আয়োজন। তাই শোকে মুহ্যমান স্বজনেরা।

ঢাকা/তারেকুর/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ