ওপেন এপিআইভিত্তিক ব্যাংকিং–ব্যবস্থা চালু করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। ওপেন এপিআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকটি তৃতীয় পক্ষের যেকোনো ধরনের সেবা, যেমন অন্যান্য অ্যাপ, নতুন ফিনটেক বা স্টার্টআপের সঙ্গে সহজে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম যুক্ত করতে পারবে। এতে গ্রাহকেরা যেমন সহজে তাঁদের লেনদেন করতে পারবেন, একই সঙ্গে নিজের মতো করে আর্থিক সেবা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তৃণমূল পর্যায়ে যেসব প্রতিষ্ঠান পণ্য বিপণনের কাজ করে, তাদের মধ্যে সংযোগ বা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পণ্য খালাস করতে পারবে। লেনদেনও সহজে করা যাবে। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওপেন এপিআই অত্যাধুনিক একটি প্রযুক্তি। বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওরাকল মাত্র ২৫টি দেশে এই সেবা চালু করেছে। বাংলাদেশে ইউসিবিই প্রথম ওপেন এপিআইভিত্তিক ব্যাংকিং–ব্যবস্থা চালু করেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গ্রাহকেরা অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ঋণের আবেদন, নিরাপত্তা যাচাইসহ সব ধরনের সেবা দ্রুত ও সহজে পাবেন।

ওপেন এপিআই ব্যাংকিং সেবা চালুর বিষয়ে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, ‘এটা শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়; বরং বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক উদ্যোগ। বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী দিনে আরও বেশি ডিজিটাল সেবা আনার ক্ষেত্রে এটা আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মো.

আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডিজিটাল রূপান্তর প্রকল্পের কারিগরি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওরাকলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ ইউস ব

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন বানচালের জন্যই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে: ছাত্র অধিকার পরিষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচাল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভয় দেখানের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

বিন ইয়ামিন আরও বলেন, যাঁরা এই ক্যাম্পাসে পূর্বের কায়দায় ককটেল, বোমা ও লাশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, তাদের ‘কালো হাতকে’ শিক্ষার্থীরা সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

সোমবার সকালে আইন অনুষদের সামনে থেকে সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ