দাবি নিষ্পত্তিতে নির্ভরযোগ্য অবস্থানে ‘গার্ডিয়ান’
Published: 17th, June 2025 GMT
দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ বছরের প্রথম কোয়ার্টারে আগের বছরের তুলনায় ৩৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এ কোয়ার্টারে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১২৯ কোটি টাকার বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম কোয়ার্টারে নিষ্পত্তি করা ৯৬ কোটি টাকার তুলনায় বেশি।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও পরিচালনগত দক্ষতার ফলেই উল্লেখযোগ্য এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে গার্ডিয়ান মৃত্যুজনিত দাবি বাবদ ৭৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবাজনিত দাবি বাবদ ৩৯ কোটি টাকা এবং মেয়াদপূর্তি ও অন্যান্য দাবি নিষ্পত্তিতে ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
অন্যদিকে, এর আগে ২০২৪ সালের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মৃত্যুজনিত দাবি বাবদ ৬০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবাজনিত দাবি বাবদ ২২ কোটি টাকা এবং মেয়াদপূর্তি ও অন্যান্য দাবি বাবদ ১৪ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে গার্ডিয়ান এর দাবি নিষ্পত্তির হার ছিল ৯৭.
বীমাদাবি নিষ্পত্তিতে অগ্রগতি নিয়ে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রাকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, ‘‘গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করাকে এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জনকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করি। বর্তমানে, আমরা ৯৫% দাবি তিন কার্যদিবসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, একদিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি করা। আমাদের সেবার মানোন্নয়নে আমরা এ প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছি। ’’
বর্তমানে ১ কোটি ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ গার্ডিয়ান-এর কাভারেজের আওতায় রয়েছেন। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি ৪৫০টিরও বেশি দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের (কর্পোরেট, অ্যাম্বাসি, এনজিওসহ অন্যান্য) কর্মীদের জন্য ইন্স্যুরেন্স সুবিধা নিশ্চিত করছে।
এছাড়াও, দেশজুড়ে বিস্তৃত গার্ডিয়ানের স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কে রয়েছে ৫শ’ পার্টনার হাসপাতাল রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পলিসি গ্রহীতাদের জন্য স্বাস্থ্যবিষয়ক দাবি নিষ্পত্তিকে আরও সহজ ও কার্যকর করেছে। গার্ডিয়ান দেশজুড়ে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মানসম্পন্ন বীমা সেবা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক অর্জনই এর প্রতিফলন।
ঢাকা/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন স য র ন স জন ত দ ব
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ-ছাত্রত্ব বাতিল
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, র্যাগিংসহ নানা অভিযোগ এনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ১০ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রত্ব ও সনদপত্র বাতিল করেছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বজিৎ শীল, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, জাহাঙ্গীর আলম অপু, মহিউদ্দিন মুন্না, হাসু দেওয়ান, আকিব মাহমুদ, আবির, অন্তু কান্তি দে, জাকির হোসেন ও রিয়াদ।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে, তাদের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। যারা এখনো অধ্যয়নরত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ছাত্রলীগের বিচারসহ ৯ দাবি জবি ছাত্রদলের
রাবিতে প্রভাষক হলেন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা, ক্ষোভ
ভিসি আরো জানান, ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়, যা সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। গত পরশু তাদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট মাসে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি, যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটা প্রত্যাহার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে প্রোগ্রাম হয়েছে, সেদিনও কিছু হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একদিন নিশ্চয়ই এই অবিচারের বিচারও হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনাও আছে অভিযোগে। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’’
২০১৫ সালে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ব্যানারে নানান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যেত। বহিষ্কৃত ও সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন ৫ আগস্টের আগে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছু দিন কারাবরণ শেষে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা বহিষ্কৃত ১০ জনের একজন বিশ্বজিৎ শীল।
ঢাকা/শংকর/বকুল