দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ বছরের প্রথম কোয়ার্টারে আগের বছরের তুলনায় ৩৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এ কোয়ার্টারে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১২৯ কোটি টাকার বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম কোয়ার্টারে নিষ্পত্তি করা ৯৬ কোটি টাকার তুলনায় বেশি। 

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও পরিচালনগত দক্ষতার ফলেই উল্লেখযোগ্য এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।  

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে গার্ডিয়ান মৃত্যুজনিত দাবি বাবদ ৭৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবাজনিত দাবি বাবদ ৩৯ কোটি টাকা এবং মেয়াদপূর্তি ও অন্যান্য দাবি নিষ্পত্তিতে ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। 

অন্যদিকে, এর আগে ২০২৪ সালের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মৃত্যুজনিত দাবি বাবদ ৬০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবাজনিত দাবি বাবদ ২২ কোটি টাকা এবং মেয়াদপূর্তি ও অন্যান্য দাবি বাবদ ১৪ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে গার্ডিয়ান এর দাবি নিষ্পত্তির হার ছিল ৯৭.

৬৯%, যা প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ইন্স্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

বীমাদাবি নিষ্পত্তিতে অগ্রগতি নিয়ে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রাকিবুল করিম, এফসিএ বলেন,   ‘‘গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করাকে এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জনকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করি। বর্তমানে, আমরা ৯৫% দাবি তিন কার্যদিবসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, একদিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি করা। আমাদের সেবার মানোন্নয়নে আমরা এ প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছি।  ’’ 

বর্তমানে ১ কোটি ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ গার্ডিয়ান-এর কাভারেজের আওতায় রয়েছেন। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি ৪৫০টিরও বেশি দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের (কর্পোরেট, অ্যাম্বাসি, এনজিওসহ অন্যান্য) কর্মীদের জন্য ইন্স্যুরেন্স সুবিধা নিশ্চিত করছে। 

এছাড়াও, দেশজুড়ে বিস্তৃত গার্ডিয়ানের স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কে রয়েছে ৫শ’ পার্টনার হাসপাতাল রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পলিসি গ্রহীতাদের জন্য স্বাস্থ্যবিষয়ক দাবি নিষ্পত্তিকে আরও সহজ ও কার্যকর করেছে। গার্ডিয়ান দেশজুড়ে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মানসম্পন্ন বীমা সেবা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক অর্জনই এর প্রতিফলন।

ঢাকা/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন স য র ন স জন ত দ ব

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা